কলকাতা : 'নারীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। আমি আবার সব রাজ্য সরকারকে বলব নারীদের উপর অত্যাচারের ঘটনা অমার্জনীয়। যারাই দোষী তাদের যেন ছাড় না দেওয়া হয়।' আরজি কর-কাণ্ডের আবহে এর আগেই মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে 'লাখপতি দিদি সম্মেলন' থেকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফের একবার নারী নির্যাতন ইস্যুতে বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় বিচার-ব্যবস্থা দ্রুত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আজ, মহিলাদের উপর অত্যাচার, শিশুদের নিরাপত্তা...সমাজের উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য দেশে অনেক কড়া আইন আনা হয়েছে, কিন্তু এটা আরও সক্রিয় করতে হবে। মহিলাদের উপর অত্যাচারের ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, অর্ধেক জনসংখ্যার মানুষ তত বেশি নিরাপত্তা-নিশ্চয়তা পাবেন।"
সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিতে একটি ইভেন্টে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি আরও বলেন, "দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক আইন আছে। ২০১৯ সালে, ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট আইন পাস হয়। জেলা নজরদারি কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, এই কমিটিগুলি যাতে আরও শক্তিশালী করা যায় এবং মহিলাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় দ্রুত রায় ঘোষণা করা যায়।"
এদিকে ধর্ষণ বিরোধী কড়া আইন তৈরির আর্জি জানিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সংস্থান-সহ আইন তৈরি ছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জ গঠন করে ট্রায়াল শুরুর কথাও বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে, বিধানসভায় কড়া ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন ; 'যে মহিলাদের অত্যাচার করে এবং যে তাকে বাঁচায়...' RG Kar ঘটনার আবহে কড়া বার্তা মোদির
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।