নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ বা এসপিজি কভার দিতে ২৪ ঘণ্টায় খরচ হয় ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। সংসদে লিখিতভাবে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দেশে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই পান মহার্ঘ্য এই সুরক্ষা।


ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারান সংসদে জানতে চান, কতজন নাগরিক এসপিজি ও সিআরপিএফ নিরাপত্তা ভোগ করেন। জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, বর্তমানে শুধু একজনই এসপিজি নিরাপত্তা পান। তবে প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যাঁরা সিআরপিএফের নিরাপত্তা পান, তাঁদের নামও করেননি। ২০১৪-র পর কতজন ভিআইপির সিআরপিএফ নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয় ও কতজনকে দেওয়া হয়, তাও জানানো হয়নি সুরক্ষা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে। শুধু বলা হয়েছে, মাত্র ৫৬ জন সিআরপিএফ নিরাপত্তা পান।

এবারের বাজেটে এসপিজি সুরক্ষার জন্য বরাদ্দ অর্থ ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, এ নিয়ে জানতে চান দয়ানিধি। ২০১৯-২০ সালে বাজেটে এসপিজির জন্য বরাদ্দ হয় ৫৪০.১৬ কোটি টাকা, এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৫৯২.৫৫ কোটি। গত বছর পর্যন্ত ৪ জন এই সুরক্ষা পেতেন অর্থাৎ প্রত্যেকের পিছনে নিরাপত্তার জন্য খরচ হত ১৩৫ কোটি টাকা। কিন্তু গতবার সংসদে এসপিজি আইনে সংশোধনী এনে বলা হয়েছে, শুধু প্রধানমন্ত্রীই এবার থেকে এসপিজি নিরাপত্তা পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার পর আরও ৫ বছর এই নিরাপত্তা পাবেন তিনি, তারপর সরিয়ে নেওয়া হবে। আগে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি গাঁধী পরিবার অর্থাৎ সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ভঢরা এই সুবিধে পেতেন। গত বছর থেকে গাঁধীরা আর এসপিজি নিরাপত্তা পান না। তাঁদের জন্য সিআরপিএফ সুরক্ষার বন্দোবস্ত হয়েছে।