সন্দীপ সরকার, দীপক ঘোষ ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দিতে রেট বাড়ানোর দাবি করল বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। রোগীকে কোনও অবস্থাতেই ফেরানো যাবে না, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে পাল্টা জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে এমনটাই খবর।
সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার প্রত্যেক পরিবারের প্রতিটি মানুষ, ১০০% মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আসবেন বলে জানান তিনি।
কিন্তু সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতালগুলি দাবি করল, সবাইকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধে দিতে হলে রেট বাড়াতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে বকেয়া মেটাতে হবে বলেও দাবি করেছে তারা। পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের সভাপতি রূপক বড়ুয়া জানান, সরকারকে রেট বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে, রেট না বাড়ালে প্রকল্পের সুবিধে দেওয়া সম্ভব নয়, সরকারের কাছ থেকে টাকা পেতে অনেক দেরি হয়, সেক্ষেত্রে হাসপাতালগুলির সমস্যা হয় বলে জানান তিনি। এছাড়া ছোটখাট রোগের ক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরেই চিকিৎসা হোক, এমনও বলেন তিনি।
সোমবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, সবাইকে পরিষেবা দিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে পরিকাঠামো বাড়াতে বলা হয়। সরকারের এই মনোভাব জানার পরই নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রেট বাড়ুক না বাড়ুক, রোগীকে ফেরানো যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তাদের দাবি লিখিত আকারে জানাতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও অব্যাহত।
এনিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, স্বাস্থ্যসাথীতে ১০ কোটি কার্ড হবে, ৫ পারসেন্ট লোক টাকা চাইলে ৫০ হাজার কোটি টাকা লাগবে। কোথায় টাকা? জবাবে তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে দাবি করেন, দুয়ারে সরকার সফল হয়েছে, ২০ হাজার শিবির বসেছে।
সাধারণ মানুষের অবশ্য তরজায় আগ্রহ নেই। তাঁরা বলছেন, বিপদের সময়ে হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধাটা পেলেই হল।