নয়াদিল্লি: চলতি বছর ঘটনাবহুল। গোটা বছরটাই কেটেছে করোনাভাইরাসের আবহে। এরই মধ্যে একাধিকবার মহাজাগতিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন বিশ্ববাসী। চন্দ্রগ্রহণের পাশাপাশি সূর্যগ্রহণও দেখা গিয়েছে এ বছর। এবার বছরের শেষে আরও একটি মহাজাগতিক ঘটনা দেখা যাবে। আগামীকাল ও বুধবার দেখা যাবে বছরের শেষ পূর্ণিমা, যেটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় ‘কোল্ড মুন’। ভারত থেকেও দেখা যাবে এই পূর্ণিমা। বুধবার রাত ৮.৫৮ মিনিটে ভারত থেকে সবচেয়ে ভালভাবে দেখা যাবে এই পূর্ণিমা।


জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বছরের শেষে দীর্ঘতম রাতে এই পূর্ণিমা দেখা যায়। এটিকে ‘লং নাইটস মুন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ইউরোপে বড়দিনের পরেই দেখা যায় ‘কোল্ড মুন’। এবারের ‘কোল্ড মুন’ চলতি বছরের ১৩-তম পূর্ণিমা। মঙ্গল ও বুধবার রাতে দেখা যাবে এই পূর্ণিমা। উত্তর আমেরিকায় পূর্ণিমা দেখা যাবে আগামীকাল রাতে। ভারতে দেখা যাবে পরের দিন। ‘কোল্ড মুন’ প্রত্যক্ষ করার সেরা সময় গোধূলি। সেই সময় পশ্চিমদিকে সূর্য অস্তে যাবে আর পূর্ব আকাশে চাঁদ উঠবে। চাঁদ ওঠার পর প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পূর্ব আকাশে দেখা যাবে।

গোধূলিতে চাঁদ যখন প্রথমবার দেখা যায়, তখন পৃথিবী থেকে চাঁদের উপর সূর্যের আলো প্রতিফলিত হতে দেখা যায়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পেরিয়ে সূর্যের এই আলো প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে এসে পৌঁছয়। এই সময় চাঁদের রং কমলা দেখায়। পরে এই রং বদলে হলুদ হয়ে যায়। শেষে চাঁদকে সাদা দেখায়। আলোর বিচ্ছুরণের তারতম্যের কারণেই চাঁদের রং বদলে যায়।

আগামী বছর প্রথম পূর্ণিমা দেখা যাবে ২৮ জানুয়ারি। এই পূর্ণিমার নাম ‘উলফ মুন’। বছরের দ্বিতীয় পূর্ণিমা ২৭ ফেব্রুয়ারি, যার নাম ‘স্নো মুন’। বছরের তৃতীয় পূর্ণিমা ২৮ মার্চ। এই পূর্ণিমার নাম ‘ওয়র্ম মুন’। বছরের চতুর্থ পূর্ণিমা ২৭ এপ্রিল। এটির নাম ‘পিঙ্ক মুন’। ২৬ মে দেখা যাবে ‘ফ্লাওয়ার মুন’। এটি বছরের পঞ্চম পূর্ণিমা। ২৪ জুন বছরের ষষ্ঠ পূর্ণিমা, যার নাম ‘স্ট্রবেরি মুন’। ৩১ জুলাই দেখা যাবে ‘বাক মুন’। ৩০ অগাস্ট দেখা যাবে ‘স্টারজিওন মুন’। ২৯ সেপ্টেম্বর দেখা যাবে ‘হার্ভেস্ট মুন’। ২৮ অক্টোবর দেখা যাবে ‘হান্টার’স মুন’। ২৭ নভেম্বর দেখা যাবে ‘বিভার মুন’। আগামী বছরের শেষ পূর্ণিমা ‘কোল্ড মুন’ দেখা যাবে ২৭ ডিসেম্বর।