কলকাতা: করোনা প্রকোপে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চলছে অনলাইনেই। ক্লাস, পড়া বোঝা থেকে হোমওয়ার্ক সবই আসছে ই-মাধ্যমে। পড়ুয়ারাও ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে এই পদ্ধতিতে। এরই মধ্যে সূত্র মারফৎ খবর, কোনও কোনও বেসরকারি স্কুল পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে বেতন না দিতে পারার কারণে। এছাড়াও প্রতিবছরের মতো এবছরও যদি স্কুলের বেতন বাড়ে, এই আশঙ্কায় কপালে ভাঁজ বহু অভিভাবকেরই। লকডাউনে অনেকেরই রুজিরুটিতে টান পড়েছে। তার উপর সন্তানের শিক্ষাখাতে খরচ বাড়লে, তা সামলানো মুশকিল হতে পারে, প্রমাদ গুণছেন অনেকেই।
এই পরিস্থিতিতে আজ সোশাল মিডিয়ায় বেসরকারি স্কুলগুলিকে ফের বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, আপাতত স্কুলের ফি বাড়ানো যাবে না।   প্রাইভেট স্কুলগুলিকে দ্বিতীয়বার জানানো হল যে, তারা ফি বৃদ্ধি এই মুহূর্তে বাড়াতে পারবে না। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য,  স্কুলের বেতন বাবদ টাকা না দিলে অনলাইনে শিক্ষায় যোগ দিতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। সবাইকেই সেই সুযোগ দিতে হবে।  এ ব্যাপারে সরকারের মনোভাব যথেষ্ট কঠোর। আশা করি, প্রাইভেট স্কুলগুলি সরকারের এই মনোভাব অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে এবং অভিভাবকদের উপর মানসিক মানসিক চাপ তৈরি করা থেকে বিরত থাকবে।
এর আগেও নতুন শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি স্কুলগুলির জন্য বড় ঘোষণা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণত দেখা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষে বেসরকারিস্কুলগুলো বেতন বৃদ্ধি করে। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতিতে টিউশন ফি বৃদ্ধি করা যাবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। একটি ভিডিও মারফত তিনি বার্তা দেন, ‘করোনা  পরিস্থিতির মধ্যে কয়েকটি বেসরকারি স্কুল টিউশন ফি বৃদ্ধি করেছে বলে আমাদের কাছে অভিভাবকরা অভিযোগ জানিয়েছেন। রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি এই পরিস্থিতিতে বেতন বা টিউশন ফি বৃদ্ধি করা যাবে না।’
করোনা পরিস্থিতি সামলে উঠে ঠিক কবে থেকে চালু হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক কারণে যাতে পড়ুয়াদের পড়াশুনা বিঘ্নিত না হয়, সেই কথা ভেবেই রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ।