নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সেই আবহেই চর্চার কেন্দ্রে  বারাণসী, যা কিনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র। বারাণসীতে মোদির বিরুদ্ধে ভাল কাউকে দাঁড় করানোর প্রস্তাব দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), আর তাতেই কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার (Priyanka Gandhi Vadra) নাম উঠে এসেছে। বারাণসীতে কি তাহলে মোদি বনাম প্রিয়ঙ্কার লড়াই দেখা যাবে, উঠছে প্রশ্ন। (I.N.D.I.A Alliance)


২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বিরোধী শিবির I.N.D.I.A-র অন্দরে। মঙ্গলবার দিল্লিতে I.N.D.I.A জোটের চতুর্থ বৈঠক ছিল। সেখানে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রীর মুখ করার প্রস্তাব দেন মমতা। আৎ সেই বৈঠকেই বারাণসীতে মোদির বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কাকে নামানোর প্রস্তাবও মমতার তরফেই জমা পড়ে বলে খবর। যদিও বুধবার সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে মমতা বলেন, "সব কথা আপনাদের বলতে যাব কেন?"


সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আলোচনা চলাকালীন মমতা জানান, বারাণসীতে মোদির মোকাবিলা করতে সক্ষম কাউকে দাঁড় করাতে হবে। তাতেই প্রিয়ঙ্কার নাম উঠে আসে। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজনৈতিক মহল। কারণ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে  বারাণসীতে মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু মোদিই শেষ হাসি হাসেন। তাই প্রিয়ঙ্কাকে নামিয়ে মোদির মোকাবিলা করা যাবে কিনা, উঠছে প্রশ্ন। 


আরও পড়ুন: রাজদ্রোহ হল দেশদ্রোহ, ‘বিরোধীশূন্য’ লোকসভায় বিতর্কিত 'নয়া অপরাধ বিল' পাস করিয়ে নিল কেন্দ্র


সক্রিয় রাজনীতিতে অনেকটা পরেই নাম লিখিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। নির্বাচনী রাজনীতিতে এখনও শামিল হননি। ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রিয়ঙ্কাকে সামনে রেখে যদিও উত্তরপ্রদেশে প্রচারে নামে কংগ্রেস, 'লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ' স্লোগান তুলে প্রচারে নেমে পড়েন প্রিয়ঙ্কা, তাঁকে দেখতে ভিড়ও উপচে পড়ে। কিন্তু তার ডিভিডেন্ড তুলতে পারেনি কংগ্রেস। তাই বারাণসীতে প্রিয়ঙ্কাকে নামানো নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে থাকেন প্রায় ১ লক্ষ বাঙালির বাস রয়েছে। ২০২২ সালে সেখানে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচার করেন মমতাও।  তার পরও, বারাণসী লোকসভার অন্তর্গত পাঁচটি বিধানসভা আসনের সবক'টিতে বিজেপি এবং তাদের শরিকরাই ডিভিডেনন্ড পায়। সেখানে এবার প্রিয়ঙ্কা বনাম মোদির লড়াই ঘিরে জোর পাচ্ছে জল্পনা।