নয়াদিল্লি: সংসদের বাইরে তাঁকে নকল করা নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। সেই নিয়ে ফের রাজ্যসভায় সরব হলেন জগদীপ ধনকড়। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে তাঁর 'মিমিক্রি' করেছেন, তার নিন্দা করার পাশাপাশি, কল্যাণের অভিনয় ক্যামেরাবন্দি করা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীকেও তীব্র ভর্ৎসনা করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকড়। রাহুলের মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
বুধবার ফের রাজ্য়সভায় বিষয়টি নিয়ে সরব হন ধনকড়। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহকে প্রশ্ন করেন। বলেন, "দিগ্বিজয়জি আপনি অভিজ্ঞ নেতা। আমার যন্ত্রণার কথা শুনতে চাইছেন না। আপনাদের দলের বয়স ১৩৮ বছর। কিন্তু আপনার, খড়্গেজির নীরবতা আমার কানে বাজছে বড্ড। প্রত্যেকে জানেন কী ঘটছে। ভিডিও তুলে আনন্দ পাওয়া, প্রশান্তি লাভ করাই কি আপনাদের সংস্কার? এত অধঃপতন হয়ে গিয়েছে?"
এদিন ধনকড় আরও বলেন, "শুনে রাখুন, জগদীপ ধনকড়কে যত খুশি অপমান করুন, আত্মাহুতি দিতে রাজি আমি, রক্তও গিলতে পারি, কিছু যায় আসে না আমার। কিন্তু ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি, কৃষ সমাজ, আমার সম্প্রদায়ের অপমান সহ্য করব না। পদ এবং সংসদের গরিমা ধরে রাখা আমার কর্তব্য়। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না কী ঘটেছে। "
আরও পড়ুন: ‘কাউকে না কাউকে তো মুখ হতেই হবে’! খড়্গের নাম প্রস্তাব নিয়ে মমতা, EVM নয় ভিভিপ্যাটে গণনা চাইলেন
গত সপ্তাহে লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনায় সরকারের বিবৃতি চেয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। তার জেরে বেনজির ভাবে ১৪১ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সংসদের বাইরে মক পার্লামেন্ট বসানো হয়, যেখানে ধনকড়কে নকল করে দেখান কল্যাণ। সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর অভিনয় ক্যামেরাবন্দি করেন রাহুল। সেই নিয়েই এই মুহূর্তে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ফোন করেন ধনকড়কে। গত ২০ বছর ধরে তাঁকেও একই ভাবে অপমানিত করা হয়েছে বলে জানান।
এই বিতর্ককে হাতিয়ার করে বিরোধীদের আক্রমণ করতে নেমে পড়েছেন বিজেপি-র মেতা-মন্ত্রী-সাংসদরাও। এদিন রাজ্যসভায় উঠে দাঁড়িয়ে ধনকড়ের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন তাঁরা। এ নিয়ে রাহুল কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও, কল্যাণ জানিয়েছেন, কাউকে নকল করাও এক রকমের শিল্প। প্রধানমন্ত্রী নিজে লোকসভায় এই কাজ করেছেন আগে। তিনি কাউকে আঘাত করতে চাননি। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক বা কাউকে অপমান করার মতো কিছু নেই।