কলকাতা: বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাশ হল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সরকারি নিয়োগ নীতি সংক্রান্ত প্রস্তাবও মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে সোমবার। পাশাপাশি, কোভিড চিকিৎসায় বিভিন্ন হাসপাতালের স্যাটেলাইট সেন্টারের প্রস্তাবও পাশ হয়েছে এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। রাজ্যে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে বিধান পরিষদ গঠনের পথেই হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময়েই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে যাঁরা লড়াই করার সুযোগ পেলেন না, আগামিদিনে রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠন করে তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে।


প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময়ে মমতা জানিয়েছিলেন, অমিত মিত্র পূর্ণেন্দু বসু-সহ কয়েকজনকে এ বার প্রার্থী করা যায়নি। পূর্ণেন্দু দলের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। অমিত মিত্রেরও শরীর ভাল নয়। পাশপাশি, এ বার তৃণমূলের প্রবীণ নেতাদের অনেকেই প্রার্থী হননি এবং উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের বেশকিছু নেতা ভোটে পরাজিত হয়েছেন, সেই জন্য বিধান পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে নতুন ভাবে উদ্যোগী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


প্রসঙ্গত, এবারের ২০২১-এর নির্বাচনে জিতেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি তাপস রায়, তপন দাশগুপ্ত, নির্মল মাঝি, মন্টুরাম পাখিরা, গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, অসীমা পাত্র। অন্যদিকে, গতবার মন্ত্রিসভায় থাকলেও এবার প্রার্থী হননি পূর্ণেন্দু বসু। এ ছাড়াও রয়েছেন বাচ্চু হাঁসদা, রেজ্জাক মোল্লা, রত্না কর ঘোষ। তবে প্রার্থী না হলেও অর্থমন্ত্রীর পদ পেয়েছেন অমিত মিত্রই।


উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধান পরিষদ গড়তে গেলে সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করানো প্রয়োজন এরপরেও রয়েছে একাধিক ধাপ। রাজ্যের বিধানসভার পাশাপাশি সংসদের দুই কক্ষেও দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েও বিল পাশ করাতে হয়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই বিধান পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে কিছুটা এগিয়েছিলেন মমতা। তবে তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূল না থাকায় মাঝপথেই তা আটকে যায়। এর আগেও রাজ্যে বিধান পরিষদ ছিল। তবে ১৯৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদের বিলুপ্তি ঘটে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ফের ফিরছে পুরনো প্রথা।