ওয়াশিংটন: শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ অব্যাহত।  গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের একাধিক ঘটনা ঘটেছে।  পাশাপাশি হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে অনেকে নীরব প্রতিবাদও জানাচ্ছেন।


এর জেরে বিলক্ষণ অস্বস্তিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, জর্জের মৃত্যু মর্মান্তিক। এমনটা হওয়া উচিত ছিল না। এই ঘটনায় দেশবাসীর মনে আতঙ্ক, ক্ষোভ ও শোকের আবহ ভরে দিয়েছে। ট্রাম্প যোগ করেন, এই পরিস্থিতিতে তাঁর সমবেদনা নিহতের পরিবার ও তাঁর সমর্থনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নেওয়া মার্কিনীদের সমর্থনে রয়েছে।


একইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ-ও মনে করিয়ে দেন, প্রতিবাদের নামে হিংসাত্মক বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি বরদাস্ত করা হবে না। এসবের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর হাতে ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে আমেরিকার ১৩টি শহরে জারি হয়েছে কার্ফু।  ৬টি প্রদেশে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ডাকা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড।


মিনিয়াপলিস থেকে প্রথম বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য জায়গাতেও।  তবে প্রশাসনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের নামে হিংসাত্মক বিক্ষোভ বরদাস্ত করা হবে না।


জর্জ ফ্লয়েডকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ কর্মীরা তাঁকে মাটির সঙ্গে ঠেসে ধরে।  তাঁর ঘাড় হাঁটু দিয়ে প্রায় ৮ মিনিট চেপে রাখা হয়।  সেই সময় জর্জ বারবারই বলতে থাকেন, তিনি শ্বাস নিতে পারছনে না।  এরপর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।


ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত চার পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে।