পুলওয়ামা : জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপোরার হরিপারিগামে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হল তিনজনের। স্পেশাল পুলিশ অফিসার ফৈয়াজ আহমেদের বাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় ফৈয়াজ, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে। তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে।


গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাত ১১টা নাগাদ জঙ্গিরা জোর করে ওই পুলিশ অফিসারের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এর পর এলেপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এর পর ওই পুলিশ অফিসার ফৈয়াজ আহমেদ, তাঁর স্ত্রী রাজা বেগম এবং মেয়ে রাফিয়াকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যু হয় এসিপিও, তাঁর স্ত্রীর এবং পরে তাঁদের মেয়ের।  


পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পরই ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।  জম্মু কাশ্মীরের লেফটেন্যন্ট জেনারেলের তরফে হামলার নিন্দা করা হয়েছে। নিহত পুলিশ অফিসারের ছেলে একজন জওয়ান। বছর দুয়েক আগে আহমেদকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, আহমেদ তা করেননি।


প্রসঙ্গত, গতকাল জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনা পরিচালিত সাতওয়ারি বায়ুসেনা স্টেশনে বিস্ফোরণ ঘটে। রাত ২টো নাগাদ পরপর দু’বার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ঘটনায় দুই জন জখম হন। গতকালই জম্মুতে ৫ কেজি বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার করা হয় এক লস্কর জঙ্গিকে। পরে আরও ২ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। একই দিনে জম্মু এয়ারবেসে বিস্ফোরণ এবং কয়েক কিলোমিটার দূরে ৫ কেজি বিস্ফোরক-সহ লস্কর জঙ্গির ধরা পড়ার পর, পাকিস্তান-যোগ আরও স্পষ্ট হয়েছে। NIA এবং এয়ারফোর্সের তদন্তকারী দলের প্রাথমিক অনুমান, কড়া নজরদারি পেরিয়ে, আকাশসীমা লঙ্ঘন করে সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোন আসেনি। তা ওড়ানো হয়েছিল এয়ারবেসের কাছাকাছি কোনও এলাকা থেকে।


বায়ুসেনার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিল্ডিং ও MI সেভেন্টিন চপারকে টার্গেট করা হয়েছিল বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, যেভাবে ড্রোন উড়িয়ে হামলার ছক কষা হয়েছিল, এবং তা সুরক্ষা বাহিনীর রেডারে ধরা পড়ল না, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সবাই।