নয়া দিল্লি: সাতসকালে কেঁপে উঠল পাঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দির চত্বর। শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিংহ বাদলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হল অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের বাইরে, এমনটাই অভিযোগ। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন প্রাক্তন নেতা। 


ধর্মীয় অপরাধ করার জন্য আগেই শিরোমণি অকালি দলের প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদল-সহ পূর্বতন অকালি মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল শিখ সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অকাল তখত। শিরোমণি অকালি দলের নেতা সুখবীর বাদল চাপে মুখে গত মাসের মাঝামাঝি দলের দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।                                                                                                                     






৩ ডিসেম্বর  দুপুর ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত স্বর্ণ মন্দিরের শৌচাগার সাফ করার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। সেই শাস্তি তালিকায় ছিল - শৌচালয় পরিষ্কার, বাসন মাজা ও ধোওয়া, জুতো পরিষ্কার করা ইত্যাদি। শিখ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উপাসনাস্থল অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরের শৌচালয় পরিষ্কার করতে দেখা যায় অকালি নেতাদের। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছিল। যদিও পা ভাঙা থাকায় কর সেবা গুরুদ্বারের রান্নাঘর এবং শৌচালয় পরিষ্কার করতে পারেননি সুখবীর সিংহ বাদল। 


আরও পড়ুন, বয়স পেরিয়েছে ১০০, বন্দি দশা থেকে ৩৬ বছর পর মুক্তি 'রসিক'-এর


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের নাম নারায়ণ সিংহ চৌরা।  ঘটনাস্থল থেকে দেখা যায় তাকে ধীরে ধীরে গেটের কাছে আসছে। তারপর দ্রুত বন্দুক বের করে। সুখবীর সিংহ বাদলের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একজন লোক তাকে সময় মতো দেখে তার হাত ধরে নেয়। ফলে গুলিটি ছিটকে বাইরে চলে যায়।  আততায়ীকে ধরে ফেলেন স্বর্ণমন্দিরের বাইরে উপস্থিত লোকজন।


কে এই নারায়ণ সিংহ চৌরা? 


অভিযোগ খলিস্তান লিবারেশন ফোর্স এবং অকালি ফেডেরশনের সঙ্গে যুক্ত নারায়ণ সিংহ চৌরা। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার মামলায় জালালাবাদ গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ৮ মে ২০১০-এ অমৃতসরের সিভিল লাইন পুলিশ স্টেশনে বিস্ফোরক আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছিল। যদিও এই মামলায় আদালত বেকসুর খালাস করে দেয় তাঁকে। ১৯৮৪ সালে বুড়াইল জেল ভাঙার মামলারও আসামি ছিলেন নারায়ণ সিংহ চৌরা।