অমৃতসর: খাস পুলিশ স্টেশনে RPG হামলা! রকেটের মুখে গ্রেনেড লাগিয়ে হামলা! পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া পঞ্জাবের তরণ তারণে ক্ষতিগ্রস্ত সরহলি পুলিশ স্টেশন। রকেট হামলায় খসে গিয়েছে পুলিশ স্টেশনের দেওয়ালের চাঙড়। চুরমার পুলিশ স্টেশনের জানালার কাচ।


তরণ তারণ পুলিশের সাঞ্ঝা কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। স্বল্প তীব্রতার বিস্ফোরণের মতো শব্দ শোনা গিয়েছে বলে খবর। রকেটবাহিত গ্রেনেড ফেলে হামলা চালানো হয়েছে বলেও প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। পাক সীমান্ত সংলগ্ন থানায় এমন হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া না হয়ে থাকলে, দুষ্কৃতীরা স্থানীয় হলে, তাদের হাতে রকেট পৌঁছল কী ভাবে, প্রশিক্ষণই বা পেল কী করে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।



সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রাত ১টা নাগাদ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি রকেট লঞ্চারের মতো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা। বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখতে রওনা দিয়েছে ফরেনসিক টিম। 


পঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব খোদ ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তিনি বলেন, "গতকাল রাত ১১টা বেজে ২২ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। আপাতত গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। রকেট বাহিত গ্রেনেড ছোড়া হয়। সরহলি থানার সুবিধা কেন্দ্রে সেটি এসে পড়ে। ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ফরেনসিক দল এসে পৌঁছেছে। এসে পৌঁছেছে সেনার একটি দলও।"


প্রযুক্তিগত দিক থেকে এবং ফরেনসিকদের তথ্য অনুযায়ী তদন্ত এগোবে বলেও জানান ডিজি। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা নিয়েও চলছে পর্যালোচনা। রকেট লঞ্চারটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।



এই ঘটনায় যদিও পঞ্জাবে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। দলের নেতা মনজিন্দর সিংহ সিরসা ট্যুইটারে লেখেন, 'আপ সরকার গুজরাত বিধানসভা এবং দিল্লি পৌরসভা নির্বাচনের ফল উদযাপনে ব্যস্ত। সীমান্ত লাগোয়া পঞ্জাবের শান্তি এবং নিরাপত্তা নিয়ে গা ছাড়া ভাব দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান'।


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দর সিংহ রাজাও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁর বক্তব্য, "অত্যন্ত বিপজ্জনক ইঙ্গিত। গুরুতর ঘটনা। শান্তি নিধনকারী শত্রুরা কতটা দুঃসাহসী হলে থানায় হামলা করে। পঞ্জাবের জন্য মোটেই সুখকর ঘটনা নয়। একজোট হয়ে লড়তে হবে আমাদের। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে নিতে হবে অগ্রণী ভূমিকা। এই ঝুঁকিকে হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়।"