পুরীর মন্দিরে ক্যামেরা নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ। বারণ, মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকাও। মন্দিরের বাইরে সরকারি অফিসে জমা রেখে ঢুকতে হয় ব্যাগ, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, এমনকী ছাতাও। কিন্তু এত কড়াকড়ি সত্ত্বেও স্পাই-ক্যামেরা নিয়ে মন্দিরে ঢুকে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। শনিবারের ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। 


শুক্রবার ছিল দোলযাত্রা ও হোলি। শনি ও রবিবার অনেকেরই ছুটি দিন। তাই পুরীতে ভক্তের ঢল নামে। জগন্নাথ মন্দিরেও ভিড় ছিল যথেষ্ট। তারই মধ্যে এই কাণ্ড ঘটান এক ব্যক্তি । ওড়িশা টিভি সূত্রে খবর, শনিবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভেতর থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ভাস্কর সামন্ত নামে ব্যক্তি গোপন - ক্যামেরা ব্যবহার করে জগন্নাথ মন্দিরের ভেতরের ভিডিও করছিলেন বলে অভিযোগ।  মন্দিরের সিংহদুয়ারে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরাই বিষয়টি ধরে ফেলে। খবর ওড়িশা টিভি সূত্রে। 


ওড়িশা টিভি সূত্রে খবর, পুলিশ  স্পাই ক্যামেরাটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে।  ক্যামেরার মেমরি কার্ডে মন্দিরের অভ্যন্তরের ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়েছে । কী উদ্দেশে লুকিয়ে ভিডিও করছিল ওই ব্যক্তি, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। সেই জন্য এই মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ কড়া। তার মধ্যে দিয়ে কেন, কী উদ্দেশে ওই ব্যক্তি ক্যামেরা নিয়ে ঢুকে পড়লেন, তদন্ত চলছে। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।  


এই প্রথম নয় অবশ্য। চলতি মাসের  গোড়ার দিকেই পুরী শ্রীমন্দিরের  ভিতরে তোলা কয়েকটি ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় । এর ফলে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয় ভক্ত মহলে।  কোথায় নিরাপত্তা, কীভাবে ক্যামেরা নিয়ে লোকে ঢুকে যাচ্ছে, প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।  পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ভিডিওগুলি একজন তরুণী শেয়ার করেছিলেন। সেখানে শ্রী মন্দির প্রাঙ্গনে স্থিত  নৃসিংহ মন্দিরের কাছে পশ্চিম গেট সহ বিভিন্ন এলাকা প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া পুরী রেলওয়ে স্টেশন , সমুদ্র সৈকত, সহ আরও অনেক জায়গার ভিস্যুয়ালো ছিল।  তা নিয়েও চাঞ্চল্য ছড়ায়। 


এর আগে জানুয়ারি মাসে পুরী মন্দিরের ঠিক উপর দিয়ে একটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় পুরীর পুলিশ।   ড্রোনটি প্রায় ২৫ মিনিট ধরে মন্দিরের আশেপাশেই উড়ছিল। তখনও একই ভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল ।