নয়াদিল্লি: স্বাধীনতা দিবস নিরাপত্তা আঁটোসাটোর ব্যবস্থা চলছে। সেই আবহেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দেওয়ালে হুমকিবার্তা চোখে পড়ল। পুরীর মন্দিরে জঙ্গি হামলার হতে পারে বলে বার্তা দেওয়া হয়। প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামও লেখা ছিল হুমকিবার্তায়। উল্লেখ ছিল দিল্লিরও। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। (Puri Jagannath Temple Terror Threat)

বুধবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দুই জায়গায় হুমকিবার্তা লেখা গ্রাফিতি চোখে পড়ে। পরিক্রমা মার্গে, বুধি মা ঠাকুরানি মন্দিরের দেওয়ালে লেখা ছিল, ‘জঙ্গিরা মন্দির গুঁড়িয়ে দেবে’। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দেওয়ালে কিছু ফোন নম্বরও লেখা ছিল, তাতে ফোন করতে বলা হয়। ওড়িয়া ভাষায় আরও কিছু লেখা ছিল, বাংলায় যার অর্থ হয়, ‘তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে’। ‘জঙ্গি’ কথাটি মোটা হরফে লেখা ছিল বলে খবর। (Jagannath Temple)

মন্দিরের দেওয়ালে হুমকিবার্তা লেখার পাশাপাশি, সেখানকার আলোকসজ্জাও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু পরিক্রমা মার্গের যে অংশে ওই হুমকিবার্তা লেখা হয়, CCTV ক্যামেরা রয়েছে সেখানে। ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলে। নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনও থাকে। সকলের নজর এড়িয়ে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিরাপত্তারক্ষী তাহলে লাভই বা কী হচ্ছে, প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। 

পুলিশ সুপার পিনাক মিশ্রের নেতৃত্বে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই মুহূর্তে। আপাতত মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে কে রয়েছে, কী তাদের উদ্দেশ্য, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। কিন্তু তার পরও সমালোচনা এড়ানো যাচ্ছে না। 

পুরীর মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। বিশে। করে শ্রীমন্দির চত্বরে নিরাপত্তার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কম কাটাছেঁড়া হয়নি। বকেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের তরফে সেখানে আরও বাহিনী মোতায়েনের সুপারিশ করা হয়। যদিও স্থানীয়দের দাবি, ব্যবস্থাপনার গোড়াতেই গলদ রয়েছে। সিসিটিভি-র অধিকাংশই কাজ করে না। 

পুরীর জগন্নাথ মন্দির হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র স্থান। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ছুটে যান সেখানে। সেই মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।