গুয়াহাটি : ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় বিজেপি-শাসিত অসমে ফের বাধার মুখে পড়লেন রাহুল গাঁধী। ন্যায় যাত্রার দশম দিনে মঙ্গলবার মেঘালয় থেকে অসমে যান কংগ্রেস সাংসদ। গুয়াহাটি শহর দিয়ে যাওয়ার সময় রাহুল গাঁধীর বাস আটকায় পুলিশ। রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। এরপরই ধুন্ধুমার বাঁধে। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়।  


গুয়াহাটিতে এদিন ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলার কথা রাহুল গাঁধীর। কংগ্রেস সাংসদের অভিযোগ, তাঁকে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলা থেকে আটকানো হচ্ছে। প্রশাসন জানায়, গুয়াহাটি শহরের ভিতরে রাহুল গাঁধীর যাত্রার অনুমতি নেই। তাঁদের শহরের উপকণ্ঠ দিয়ে যেতে বলা হয়। সংঘর্ষের পর অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় ওই এলাকায়। ধস্তাধস্তির পর এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে । সকাল ১০টা নাগাদ কুইন্স হোটেল থেকে ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা শুরু হয়। 






এর আগে মেঘালয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন রাহুল। তিনি বলেন, ' ওরা তোমাদের দাসত্ব চায়, কিন্তু তোমরা নিজের শর্তে বাঁচবে, অন্য কারও কথায় নয়।' পড়ুয়াদের পরামর্শ দেন রাহুল। সোমবার রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অসমের নগাঁও-তে রাহুলকে মন্দিরে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।


অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন অসমের নগাঁও-তে রাহুল গাঁধীকে সন্ত শঙ্করদেবের মন্দিরে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। রাহুলও ছেড়ে কথা বলেননি। নাম না করেই শানান আক্রমণ। বলেন' আজ হয়তো একজনই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন, '। সহজেই অনুমেয় তিরটি ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে। 


কংগ্রেসের অভিযোগ, দুুপুর ৩টের আগে রাহুল গাঁধী মন্দিরে যেতে পারবেন না বলে জানানো হয়। সন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থানে যাওয়ার রাস্তায় ছিল কড়া সুরক্ষাবলয়। প্রতিবাদে  'রঘুপতি রাঘব রাজারাম' গাইতে গাইতে রাস্তায় বসে পড়েন রাহুল গাঁধী, জয়রাম রমেশরা। এর আগে অসমের কালিয়াবরে রাহুল গাঁধীর বাস ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। জয়রাম রমেশের গাড়িতে হামলার অভিযোগও ওঠে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরাকেও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে । 


আরও পড়ুন : 


রামভূমি অযোধ্যার দর্শন করুন এবিপি মেটাভার্সে। ক্লিক করুন।