নয়াদিল্লি: কৃষকদের দেশের মেরুদণ্ড বা শিঁরদাড়া আখ্যা দিয়ে তাদের ‘নকশাল’, ‘খলিস্তানি’ তকমা দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করলেন, পাশাপাশি রাহুল গাঁধীকেও আক্রমণ করে তিনি  চাষবাসের কিছুই  জানেন না বলে অভিযোগ করেন রাজনাথ সিংহ।


কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ উত্তর ভারতের কৃষকরা রাস্তায় নেমেছেন। দিল্লি সীমান্তে এক মাসের ওপর তাঁরা অবস্থানে বসেছেন। বেশ কয়েক দফায় সরকারের সঙ্গে তাঁদের আলোচনাতেও সমাধানসূত্র বেরয়নি। তাঁরা আইন প্রত্য়াহারের দাবিতে অনড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ কেন্দ্রের মন্ত্রীরা ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ব্যবস্থা উঠে যাচ্ছে  না বলে জানালেও নরম হতে নারাজ তাঁরা। এ নিয়ে কৃষকদের পক্ষে আসরে নেমে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন রাহুল। কংগ্রেস সাংসদকে পাল্টা জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কটাক্ষ করেছেন, উনি কংগ্রেস নেতার চেয়ে কৃষি ভাল বোঝেন কেননা তিনি কৃষক  পরিবারের সন্তান, তাঁর বাবা-মা, উভয়েই ছিলেন কৃষক।  রাজনাথ বলেন, রাহুলজি বয়সে আমার চেয়ে ছোট আর আমি কৃষির ব্যাপারে ওঁর চেয়ে বেশি জানি কেননা আমার জন্ম এক কৃষক মায়ের গর্ভে। ওনার জন্ম বড়লোকের ঘরে। আমি চাষির ছেলে। আমরা চাষিদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতেই পারি না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীরও জন্ম এক গরিব মায়ের পেটে। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই, আর কিছু বলার দরকার নেই।

রাজনাথ ফের দাবি করেন, কৃষক স্বার্থেই কৃষি সংস্কার আইন তৈরি হয়েছে, কৃষকদের উচিত দুবছরের জন্য আইনগুলি চালু হতে দেওয়া। একইসঙ্গে কৃষক বিক্ষোভে তিনি সরকার ‘ব্যথিত’ বলেও জানান রাজনাথ।

আন্দোলনরত কৃষকদের নকশাল, খলিস্তানি তকমা দেওয়ার বিরোধিতা করে  রাজনাথ বলেন, চাষিদের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ করা উচিত নয় কারও। কৃষকদের প্রতি আমাদের গভীরতম শ্রদ্ধা জানাই।  শ্রদ্ধা, ভক্তিতে ওদের সামনে মাথা নত করি। ওরা আমাদের অন্নদাতা। তিনি আরও বলেন, আর্থিক মন্দার কালে কৃষকরাই সঙ্কট থেকে অর্থনীতিকে বের করে আনার দায়িত্ব পালন করেছেন। একাধিক সময় তাঁরা দেশকে বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন। রাজনাথ অবশ্য কৃষকদের সরকারের সঙ্গে তিনটি কৃষি আইনের প্রতিটি ধারা নিয়ে যুক্তিপূর্ণ বিতর্কে বসা উচিত বলে অভিমত জানান।