মণিপুর: জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরের পরে এবার মণিপুরের ইম্ফল। হিংসা বিধ্বস্ত বিজেপি শাসিত মণিপুর পরিদর্শন করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে রাহুল গাঁধী। ইম্ফল এয়ারপোর্টের অদূরে, বিষ্ণুপুর চেকপোস্টের কাছে রাহুলের কনভয় আটকে দেয় পুলিশ। যদিও সূত্রের দাবি, নিরাপত্তাজনিত কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
গত মাস দুয়েক ধরে জাতিগত হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। বারবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ। এদিন আকাশপথে রাহুল গাঁধীকে যেতে বলায় তিনি তাতে রাজি হননি বলে সূত্রের খবর। যদিও পরে ফিরে গিয়ে কপ্টারে চূড়াচন্দপুর শিবিরে যেতে রাজি হন বলে সূত্রের খবর।
জাতিগত হিংসায় কার্যত বিধ্বস্ত মণিপুর। বারবার জাতিগত হিংসায় আগুন জ্বলেছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় ১০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা মারা গিয়েছেন। চারশোরও বেশি বাসিন্দা জখম হয়েছেন। ঘটনার জেরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এই পরিস্থিতির পরেও তিনি মণিপুর সফরে না যাওয়ায় বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই ঘটনার মাসখানেক পরে অমিত শাহ মণিপুর সফরে যান।
এবার মণিপুর সফরে যাওয়ার ঘোষণা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। দু দিনের সফরে নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলার কথা রয়েছে তাঁর। হিংসার ঘটনায় যাঁরা বাড়িছাড়া তাঁদের সঙ্গেও কথা বলার কথা রয়েছে রাহুল গাঁধীর। কিন্তু এদিন ইম্ফল বিমানবন্দর ছেড়ে কিছুদূর এগোতেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার ইম্ফল পৌঁছেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন রাহুল গাঁধী। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'শান্তি ফেরানোই এখন মূল লক্ষ্য। মণিপুর সেরে উঠছে। একসঙ্গে থাকলেই শান্তি ফিরবে।'
চূড়াচন্দপুর শিবিরে যাওয়ার সময় এদিন আটকানো হয় রাহুল গাঁধীকে। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেছেন, 'পুলিশ বলেছে তাঁরা আমাদের যেতে দিতে পারবেন না। রাহুল গাঁধীকে দেখার জন্য মানুষজন দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা বুঝলাম না কেন পুলিশ আমাদের যেতে দিল না।'
এই ঘটনায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিজেপির দিকে তোপ দেগেছে। ট্যুইটে তিনি বলেছেন, 'এই পদক্ষেপ মানা যায় না, যাবতীয় গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক নিয়মকানুন ভাঙা হয়েছে। মণিপুরের শান্তি প্রয়োজন। দ্বন্দ্ব নয়।'
আরও পড়ুন: জীবনজুড়ে জঙ্গল, কলমজুড়ে প্রেম! টপ্পায় বুঁদ করতেন 'ঋজুদা' বুদ্ধদেব