নয়াদিল্লি: সোমবার শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেসের ১৩৬-তম প্রতিষ্ঠা দিবসের আগের দিনই দেশ ছাড়লেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। দলের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি কিছুদিন বাইরে থাকবেন। যদিও প্রতিষ্ঠাদিবসের আগের দিন তিনি বিদেশ পাড়ি দেওয়ায় কটাক্ষ, সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
গত শনিবার সোনিয়া গাঁধীর ডাকে কংগ্রেসের বৈঠকে রাহুল জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি যে কোনও দায়িত্ব পালনে রাজি। পদ বড় কথা নয় বলেও জানিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু তারপরও দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাহুলের অনুপস্থিতি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে বিদেশে গিয়েছেন রাহুল। আপাতত কিছুদিন দেশের বাইরে থাকবেন তিনি। কিন্তু কী কারণে তিনি দেশের বাইরে গিয়েছেন বা কোথায় গিয়েছেন সে বিষয়ে দলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
যদিও সূত্রের খবর, ইতালির মিলানে গিয়েছেন তিনি। সেখানে তাঁর দিদিমা থাকেন। এই বিদেশযাত্রার খবর সমালোচকদের পালে হাওয়া জুগিয়েছে। রাহুল যে রাজনীতি নিয়ে একেবারেই সিরিয়াস নন, এই ঘটনা ফের তার উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, নতুন বছরের আনন্দে মেতে উঠতে তিনি বিদেশে গিয়েছেন। গত লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবির পরে সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল। অনেক টালবাহানার পর দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি হন সনিয়। কিন্তু তারপর থেকে কংগ্রেসের অন্দরে টানাপড়েন চলছেই। কখনও খোলনলচে বদলে ফেলার দাবি উঠেছে দলের অন্দরে তো কখনও সনিয়াকে চিঠি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। দলে পূর্ণ সময়ের সভাপতি নির্বাচন করার দাবিও উঠেছে দলের অভ্যন্তরে। সামনেই দলের সভাপতি নির্বাচন। কিন্তু তাঁর আগে আজ দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাহুলের গরহাজিরা নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন বিরোধীরা। রবিবার কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন রাহুল। দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁরা যেন আন্দোলন চালিয়ে যান, সেই বার্তাও দিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠা দিবসে কংগ্রেস দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠা দিবসে রাহুলের মতো নেতা না থাকায় বিরোধীরা হাতে অস্ত্র পেয়ে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।


তবে পাল্টা সমালোচনার জবাব দিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র কে আর বেনুগোপাল ট্যুইট করেন, রাহুল দিদিমাকে দেখতে গিয়েছেন। সেটা অন্যায়? প্রত্য়েকেরই ব্যক্তিগত সফরে যাওয়ার অধিকার আছে। বিজেপি নিম্নস্তরের রাজনীতি করছে। ওরা রাহুলকে নিশানা করছে কারণ শুধু একজন নেতাকেই আক্রমণ করতে চায়।