নয়াদিল্লি: কাঙ্খিত সাফল্য না মিললেও, লোকসভার আসনসংখ্যা একধাক্কায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের এই পুনরুত্থানের সিংহভাগ কৃতিত্বই পাচ্ছেন রাহুল গাঁধী। লোকসভায় তাঁকে বিরোধী দলনেতা হওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু রাহুলের দাবি, শুধুমাত্র প্রস্তাব দেওয়া হয়নি তাঁকে, রীতিমতো 'হুমকি' দেওয়া হয়েছে। (Rahul Gandhi)


সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে বিশেষ বৈঠক হয়। সেখানেই ঠিক হয় যে, ওয়েনাড আসনটি ছেড়ে দেবেন রাহুল। আর সেই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। নির্বাচনী রাজীনতিতে প্রিয়ঙ্কার অভিষেক নিয়ে কথা বললেও, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হওয়া নিয়ে রাহুল কেন উচ্চবাচ্য করছেন না সেই প্রশ্নও উঠে আসে। (Congress News)


কংগ্রেসের তরফে বিষয়টি নিয়ে রাহুলের উপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর। এমনকি রাহুল প্রস্তাব গ্রহণ না করলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে খড়্গে জানান, সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরই এ নিয়ে দলের তরফে বিবৃতি দেওয়া হবে। খড়্গে যদিও প্রশ্ন এড়ানোর চেষ্টা করেন, রাহুল সুযোগ হাতছাড়া করেননি। রসিকতার সুরেই খড়্গের পাশ থেকে তিনি বলে ওঠেন, "কিন্তু হুমকি তো দিয়েছেন!"


আরও পড়ুন: Train Accidents in Recent Times: স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে কখনও, কখনও হুড়মুডিয়ে এসে চাপা দিয়েছে, একদশকে পর পর ট্রেন দুর্ঘটনায় হত বহু


লোকসভা নির্বাচনে এবার ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। এর ফলে ১০ বছর পর লোকসভায় আবারও বিরোধী দলনেতায় চয়নের অধিকার পেয়েছে তারা। 'ভারত জোড়ো যাত্রা', 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' এবং সংসদে চাঁচাছোলা ভাষণের দরুণ সাম্প্রতিক কালে রাহুল যেভাবে সকলের নজর কেড়েছেন, তার জেরে রাহুলকেই লোকসভায় বিরোধী দলনেতা করার পক্ষপাতী কংগ্রেস। দলের বৈঠকে রাহুলকে ইতিমধ্যে সেই প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে সময় চেয়েছেন রাহুল। 


লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হওয়া নিয়ে রাহুল সংশয়ী বলেও খবর এসেছে। জানা গিয়েছে, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হওয়ার চেয়ে পদযাত্রা এবং সংগঠনের কাজে তিনি জোর দিতে আগ্রহী, যা আঁচ করে কংগ্রেস নেতৃত্ব কড়া বার্তা দিয়েছেন রাহুলকে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলীয় বৈঠকে এ নিয়ে রাহুলকে মজা করেই হুঁশিয়ারি দেন খড়্গে। রাহুল প্রস্তাব গ্রহণ না করলে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তিনি।


২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর পরাজয়ের দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব ছাড়েন রাহুল। সেই থেকে দলে আর কোনও পদ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব রাহুলকে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা করতে আগ্রহী। এ ব্যাপারে সনিয়া গাঁধীও রাহুলকে রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে খবর। তবে শেষ মেশ যদি রাহুল রাজি না হন, সেক্ষেত্রে কুমারী শৈলজা, গৌরব গগৈ এবং মণীশ তিওয়ারিরা দৌড়ে রয়েছেন।