নয়াদিল্লি: আসন-রফা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে জটিলতার মধ্যেই, জোট-বার্তা দিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু, তাৎপর্যপূর্ণভাবে সোমবারই সংহতি মিছিলের পর পার্ক সার্কাসের জনসভা থেকে সিপিএমকে এবং নাম না করে কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। 


বাংলায় 'INDIA' জোটের ভবিষ্য়ৎ কী? আদৌ কি কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হবে?না কি কংগ্রেস-সিপিএম জোট বেধে লোকসভা ভোটে লড়বে? রাহুল গাঁধী বলেন, আমাদের সিট নেগোশিয়েশন চলছে, মমতাজির সঙ্গে আমার কথা হয়-পার্টির কথা হয়। কখনও কখনও ওদের কেউ বলে, কখনও আমাদের কেউ বলে, এটা বড় কিছু নয়।'


অপরদিকে,তাৎপর্যপূর্ণভাবে সোমবার সংহতি মিছিলের পর ভাষণে সিপিএমকে এবং নাম না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।গতকাল মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন,আমি যখন 'INDIA'র মিটিং করি, 'INDIA' নাম আমি দিয়েছি। কিন্তু, আমার দুঃখ হয় এটা বলতে গিয়ে, আমি যখন বৈঠকে যাই দেখতে পাই, সিপিএম মিটিং পরিচালনা করছে। যার সঙ্গে আমার জীবনের ৩৪ বছর লড়াই করেছি, আমি তার কোনও উপদেশ মানব না। '


সম্প্রতি I.N.D.I.A জোটের এই বৈঠক নিয়ে যদিও কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর বক্তব্য, 'এদের না আছে নেতা, না আছে নীতি। বাংলায় চৌধুরী সাহেব এক কথা বলেন, মমতাদি আর এক কথা বলেন। এই অহঙ্কারী জোট চলবে না।'পাশাপাশি কলকাতায় এসেও তোপ দাগেন তিনি। মূলত উনিশের প্রেক্ষাপট মনে করয়ে উত্তরপ্রদেশে, 'বুয়া-বাবুয়া জোট' (SP-BSP Allaince) নিয়েও কম কটাক্ষ করেনি এর আগেও গেরুয়া শিবির। আর এদিন ঠিক সেইখানেই নিশানা করলেন অনুরাগ। বললেন,' এদের না আছে নেতা, না আছে নীতি। উত্তরপ্রদেশেও পিসি-ভাইপো বেশিদিন চলেনি। বাংলাতেও পিসি-ভাইপোর দুই শিবিরে লড়াই শুরু হয়ে গেছে। এই অহঙ্কারী জোট টিকতে পারবে না।'


আরও পড়ুন, 'নেতাজির নামে রাজনীতি, জন্মজয়ন্তীতে মূর্তি পরিষ্কার করেনি..', মন্তব্য দিলীপের


এর পাল্টা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী জানান, 'I.N.D.I.A জোটকে ভয় পেয়েই এসব বলছে বিজেপি।'তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর মতে, ক্ষুধাসূচকে ভারত কোথায়, মুদ্রাস্ফীতি কোন পর্যায়ে, এসব নিয়ে আলোচনা এড়াতেই বিরোধীদের নিশানা করছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।এদিকে, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় বিজেপি-শাসিত অসমে ফের বাধার মুখে পড়লেন রাহুল গাঁধী। ন্যায় যাত্রার দশম দিনে মঙ্গলবার মেঘালয় থেকে অসমে যান কংগ্রেস সাংসদ। গুয়াহাটি শহর দিয়ে যাওয়ার সময় রাহুল গাঁধীর বাস আটকায় পুলিশ। রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। এরপরই ধুন্ধুমার বাঁধে। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়।