ব্রাসেলস : ইউরোপ সফরের মাঝে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় কেন্দ্রীয় সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে নিশানা করলেন রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের পাল্টা হিসেবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের 'ভারত' নামে সরকারিভাবে জোরকে আতঙ্কিত পদক্ষেপ হিসেবে খোঁচা দিলেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ। পাশাপাশি নরেন্দ্রে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি (BJP) সরকারের তরফে নজর ঘোরানোর কৌশন হিসেবে ভারত-ইন্ডিয়া নাম-তরজা ইস্যুটি সামনে আনা হয়েছে বলেই মনে করেন রাহুল।
ব্রাসেলসে বসে রাহুলের মন্তব্য 'ইন্ডিয়া নামটি যা আখেরে ভারত ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দের। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে সরকারের মধ্যে তৈরি হয়েছে ভয়, তার জেরেই নাম-বদলের এক আতঙ্কিত পদক্ষেপ এটি।' শুধু রাহুলই নন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের একাধিক শরিকের ব্যাখ্যা, বিজেপি বিরোধী দলগুলি একছাতার তলায় এসে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে শক্তিসঞ্চয় করছে দেখেই ভয় সঞ্চার হয়েছে সরকারের অন্দরমহলে।
পাটনা, বেঙ্গালুরুর পর মুম্বইয়ে তৃতীয়বারের জন্য বৈঠক করে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। যে বৈঠকের অন্যতম শরিক ছিল কংগ্রেস। রাহুল গাঁধীও উপস্থিত থাকার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তাও দেন। এদিকে, যে বৈঠকের পরই সামনে আসে ইন্ডিয়া-ভারত বিতর্ক। রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে জারি সরকারি চিঠিতে উল্লেখ ছিল প্রেসিডেন্ট অফ ভারত। শুধু সেখানেই শেষ নয়, তার কিছুদিনের মধ্যে আসিয়ানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরিচয়ে প্রধানমন্ত্রী অফ ভারতের উল্লেখ ছিল। জি ২০ বৈঠকে প্রতিনিধিদের জন্যও ইন্ডিয়ার বদলে ভারত লেখা কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আর সমস্তটাই আদানি ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর জন্য বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদি সরকারের কৌশল বলেই কটাক্ষ করেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সাংসদের কথায়, 'বিরোধী জোটের ইন্ডিয়া নাম সরকারকে ভীত করেছে। বিষয়টা এতটাই তাঁকে বিব্রত করেছে যে তিনি দেশের নামই বদলে ফেলতে চাইছেন।' আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে তাঁর বার্তা, ভারতে দুই মতাদর্শের লড়াই চলছে, যা আগামী দিনে আরও বাড়বে। একদিকে রয়েছে মহাত্মা গাঁধীর মতাদর্শ আর উল্টোদিকে রয়েছে নাথুরাম গডসের মতাদর্শ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন