পটনা: বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারে রাজনৈতিক পারদ চড়ছেই। সেই আবহেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর একটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক চরমে। কর্পোরেট সংস্থা থেকে দেশের সেনাবাহিনী, সর্বত্র উচ্চবর্গের আধিপত্য বলে মন্তব্য করেছেন রাহুল। আর সেই নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কার্যত ফুঁসে উঠেছে বিজেপি। (Rahul Gandhi)
মঙ্গলবার বিহারের কুটুম্বয় নির্বাচনী জনসভা ছিল রাহুলের। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “দেশের ৫০০ তাবড় সংস্থার নাম বের করুন। তাতে অনগ্রসর, দলিত, সংখ্যালঘু, আদিবাসীদের নাম বের করে দেখান। পাবেন না, একটিও পাবেন না। সব ১০ শতাংশ জনসংখ্যার অংশ। ব্যাঙ্কের সমস্ত ধন ওঁদের কাছে যায়, সব চাকরি ওঁরা পান।” (Rahul Gandhi on Army)
সরকারি আমলা হওয়ার দৌড়েও উচ্চবর্গের লোকজন এগিয়ে। এমনকি দেশের সেনাবাহিনী, বিচারব্যবস্থাতেও তাঁদের আধিপত্য বলে দাবি করেন রাহুল। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমলাতন্ত্রের অংশ ওঁরা। বিচারবিভাগ দেখুন, ওখানেও সব পান। সেনাবাহিনীতেও ওঁদের নিয়ন্ত্রণ। দেশের ৯০ শতাংশকে কোথাও পাবেন না।”
জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমানাধিকারের দাবি জানান রাহুল। তিনি জানান, বিরোধীরা লাগাতার সামাজিক ন্যায়, সমানাধিকারের দাবি তুলে আসছেন। জাতিজনগণনার দাবিও বিরোধীরাই জানাচ্ছিলেন। তাঁর মতে, জাতি জনগণনা হলে দলিত, OBC, মহিলা, সংখ্যালঘু-দের সংখ্যা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাঁর কথায়, “জাতি জন গণনার মাধ্যমে সংবিধানকে রক্ষা করতে চাইছি আমরা। ৯০ শতাংশ মানুষ যদি (সিস্টেমে) অংশগ্রহণের অধিকার না পান, সংবিধানকে রক্ষা করা যাবে না।”
কিন্তু রাহুলের এই মন্তব্য সামনে আসতেই ফুঁসে উঠেছে বিজেপি। দলের নেতা সুরেশ নাখুয়া বলেন, “রাহুল গাঁধী এখন সেনাবাহিনীতেও জাত খুঁজছেন। বলছেন ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঘৃণা করতে গিয়ে, সব সীমা অতিক্রম করে ফেলেছেব উনি। দেশকেই ঘৃণা করতে শুরু করেছেন।”
যদি এই প্রথম এমন মন্তব্য করলেন না রাহুল। এর আগে, অগাস্ট মাসে সেনাবাহিনীকে নিয়ে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টে তিরষ্কৃত হয়েছিলেন রাহুল। সেবার রাহুলকে বলতে শোনা যায়, ‘অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সৈনিকদের মারধর করছে চিনা সেনা।” সেই নিয়ে দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান করার অভিযোগ দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। দাের হয় মানহানির মামলা।