নয়াদিল্লি: সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর পরই নির্দেশ এসেছিল সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ার। সেই মতোই সাংসদের জন্য বরাদ্দ বাড়ি ছাড়তে (MP Disqualification) উদ্যোগী হলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শুক্রবার বিকেল থেকে ১২ নম্বর তুঘলক লেনের বাংলোটিতে ট্রাকের আনাগোনা শুরু হয়েছে। বাক্সে ভরে জিনিসপত্র সরিতে তুলতে দেখা গিয়েছে কয়েক জনকে। আবার বোঝাই করা জিনিসপত্র নিয়ে বাংলো থেকে বেরিয়েও যায় পর পর দু'টিকে ট্রাককে (Congress)।


গত কয়েক দিন ধরেই বাংলো খালি করার কাজ চলছে 


সরকারি বাংলো ছেড়ে রাহুল কোথায় গিয়ে উঠবেন, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বাংলো থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে আপাতত ১০ নম্বর জনপথে সনিয়া গান্ধীর বাংলোতে সরানো হচ্ছে।  শুক্রবার জিনিসপত্র সরানোর সময় তুঘলক লেনের বাংলোয় পৌঁছন রাহুলের বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও। গত কয়েক দিন ধরেই বাংলো খালি করার কাজ চলছে বলে কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে।



ওই বাংলোর এক নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, ২২ এপ্রিল পর্যন্ত, ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল বাংলো খালি করতে। সেই মতো গত কয়েক দিন ধরেই জিনিসপত্র সরানোর কাজ চলছে। বাংলো এবং রাহুল গান্ধীর দফতর, দুই জায়গা থেকেই জিনিসপত্র সরাতে হবে। তাতে কয়েক দিন সময় লাগবে।  


আরও পড়ুন: Mehul Choksi: ১৪ হাজার কোটি হাতিয়ে ফেরার, রক্ষাকবচ পেলেন মেহুল চোকসি, ভারতে প্রত্যর্পণের রাস্তায় বাধা


২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ওই বাংলোয় ছিলেন রাহুল। কিন্তু সম্প্রতি পুরনো একটি মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল। তাঁকে দু'বছরের সাজা শোনায় গুজরাতের সুরত আদালত। তার জেরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। বাংলো ছাড়ার নোটিসও ধরানো হয় রাহুলকে। 


রাহুলকে বাংলো ছাড়ার নোটিস ধরানোয়, শোরগোল পড়তে সময় লাগেনি। কংগ্রেস নেতার জন্য নিজের বাড়ি ছেড়ে দিতে এগিয়ে আসেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে শুরু হয় ক্যাম্পেনও। তাতে অভিভূত হয়ে পড়েন রাহুল। তবে জানান, সাংসদ পদ থাকুক বা না থাকুক, থাকার জায়গা থাকুক না থাকুক, লড়াই থেকে পিছিয়ে আসবেন না তিনি।


আদানিকে আক্রমণের জেরেই অতিসক্রিয়তা! প্রশ্ন কংগ্রেসের


২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নীরব মোদি, ললিত মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক আসনে বসিয়ে আক্রমণ করেছিলেন রাহুল। দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে 'মোদি' পদবী নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তাতে তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মানহানির মামলা করেন গুজরাত বিজেপি-র এক নেতা। তাতেই সম্প্রতি দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল। আপাতত জামিনে রয়েছেন তিনি। যদিও রাহুল এবং কংগ্রেসের দাবি, মামলা বাহানামাত্র, আসলে গৌতম আদানিকে অর্থনৈতিক সুবিধে পাইয়ে দেওয়া নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে মুখ খুলেছিলেন বলেই এই অতিসক্রিয়তা, রাহুলকে সংসদের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা।