নয়াদিল্লি: রাফাল মামলার রায়ে একগুচ্ছ পিটিশনের মাধ্যমে তোলা ওই ডিলের তদন্তের দাবি খারিজ করার পাশাপাশি রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আইনি ব্যবস্থার প্রক্রিয়াও বন্ধ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও তাঁকে ভবিষ্যতে ‘আরও সতর্ক’ থাকতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
রাফাল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টকে জড়ানোর অভিযোগে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। ওই মন্তব্য করার সময় রাহুল ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। মীনাক্ষীর দাবি, রাহুল বলেছেন, মোদী সম্পর্কে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’, খোদ সুপ্রিম কোর্টও এহেন অভিমত জানিয়েছে। এতে আদালত অবমাননা হয়েছে। পরে রাহুল সুপ্রিম কোর্টের তলব পেয়ে হাজিরা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। তা গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ কংগ্রেস নেতার ক্ষমাপ্রার্থনা মঞ্জুর করেও অবশ্য বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস কে কাউল ও বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চ বলেছে, তাদের রায় পুরো না পড়ে রাজনৈতিক মন্তব্য করা উচিত হয়নি রাহুলের। তাঁর আরও সাবধানী হওয়া উচিত ছিল। ভবিষ্যতেও তাঁকে আরও সংযম দেখানোর পরামর্শ দিয়েছে বেঞ্চ।
রাফাল ডিল নিয়ে তাঁর নিজের তৈরি ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের মুখে বসানোর অভিযোগে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন লেখি। গত ১০ এপ্রিল রাফাল মামলায় তার রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রিভিউ পিটিশনের সমর্থনে কিছু নথিপত্রকে বৈধ বলে গ্রহণ করা নিয়ে মোদী সরকারের প্রাথমিক আপত্তি খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তখন রাহুল মন্তব্য করেন, শীর্ষ আদালতও বলেছে, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। বেঞ্চ তাঁর মন্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছে।
এদিন বেঞ্চ অবশ্য রাফাল ডিল নিয়ে তাদের গত ডিসেম্বরের রায়ের রিভিউ চেয়ে দায়ের হওয়া একগুচ্ছ পিটিশন খারিজ করেছে, যাতে বলা হয়েছে, ফরাসি সংস্থার তৈরি যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত চাই।