শিলং : স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন করলে আততায়ীদের ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল সোনম। এমনই অভিযোগ উঠছে। একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের এমনই খবর। তদন্ত থেকে উঠে আসছে, প্রাথমিকভাবে ভাড়াটে খুনিদের ৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল সোনম। পরে সেই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, হায়ার করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ১৫হাজার টাকা ক্যাশও নাকি দিয়ে দিয়েছিল। স্বামীকে হত্যা-পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাকি টাকাও মিটিয়ে দেওয়ার কথা জানায় সোনম। যদিও এইসব দাবির সত্যতা বিচার করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুতে প্রথম সোনম ও রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল আততায়ীদের। বেঙ্গালুরু থেকে কানেক্টিং বিমান ধরেছিল দম্পতি। তিন জন খুনিকে ভাড়া করেছিল সোনম। 

এই ঘটনায় সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। খুনের ছক বাস্তবায়িত করার অভিযোগে ধৃতদের নাম - আকাশ রাজপুর, বিশাল সিং চৌহান ও আনন্দ কুর্মি। নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন পর, ৯ জুন সোনমকে উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে পাওয়া যায়, যখন সে স্থানীয় একটি খাবারের দোকান থেকে তার ভাইকে ফোন করে তার অবস্থান সম্পর্কে জানায়। খাবারের দোকানের একজন কর্মী পুলিশকে জানান যে, সোনম কাঁদছিল এবং ফোন ব্যবহারের কথা বলে। সে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চায়।

পরে সোনমকে আটক করা হয় এবং সে আত্মসমর্পণ করে। বর্তমানে, সোনম মেঘালয় পুলিশের কাছে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে আছে। রাজার পরিবার এই ঘটনায় জড়িত সকলের কঠোরতম শাস্তি দাবি করেছে। তারা বলেছে যে, রাজার মৃতদেহ আসার পর তারা কুশওয়াহাকে তাদের ইন্দোরের বাড়িতেও দেখেছে।

গত ১১ মে বিয়ে হয়েছিলে ২৪ বছরের সোনম ও ২৯ বছরের রাজার। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সোনমকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। সোনমের পরিবারের ফার্নিচার শিট ইউনিটের অ্যাকাউনটেন্ট হিসাবে কাজ করত রাজ। পারিবারিক সেই ব্যবসার দেখভাল করত সোনম। ইন্দোরে বিয়ের পর, রাজা ও সোনম হানিমুনের জন্য মেঘালয় চলে যায়। ২৩ মে থেকে তাদের খোঁজ মিলছিল না। ২ জুন রাজার মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিল সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নংরিয়াত গ্রামে একটি হোমস্টে থেকে বেরিয়ে আসার কয়েক ঘণ্টা পর।