রাজস্থান: প্রবাদে রয়েছে, লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। এখানে মৃত্যু হয়নি ঠিকই। তবে কোপ পড়েছে চাকরিতে। রাজস্থানের আলোয়ারে যাত্রিবাহী ট্রেন থামিয়ে কচুরি আনিয়েছিলেন লোকাল ট্রেনের চালক। তার জেরে যানজট তৈরি হয়ে গিয়েছিল রেল ক্রসিংয়ের দুই দিকে। ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও। ঘটনা নজরে আসতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে রেল প্রশাসনের। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৫ রেলকর্মীকে।


ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল? জানতে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ কয়েকদিন। আলোয়ারের জংশনের পাঁচশো মিটার আগেই রয়েছে দাউদপুর রেল ক্রসিং। ঘটনাস্থল সেখানেই। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রেল ক্রসিংয়ের ঠিক মাঝে হাতে প্লাস্টিকের ব্যাগ ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। দেখা গেল, ধীরে ধীরে তাঁর সামনেই এসে দাঁড়াল ট্রেন। তারপরেই ট্রেনচালক হাত বাড়িয়ে নিলেন ওই প্যাকেট। ওই ব্যক্তি একটু পিছোতেই ফের ছেড়ে দিল ট্রেন। ভিডিওটি আপাত-নিরীহ হলেও এতে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এমন ঘটনা নতুন নয়। প্রায়শই এই ছবি দেখা যায় আলোয়ারের দাউদপুরের এই এলাকায়। সেখানকার খাস্তা কচুরি নাকি ভীষণ উপাদেয়। তার লোভেই প্রতিদিন সকাল ৮টা নাগাদ এভাবে থামে ট্রেন। আর কচুরি কিনে ট্রেনে পৌঁছনোর কাজটি করে থাকেন স্থানীয় রেলকর্মী। ততক্ষণ বিপদ এড়াতে রেল ক্রসিংয়ের রেল গেট নামানো থাকে। ফলে অপেক্ষা করতে হয় সাধারণ নাগরিকদের।  


ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। মুখরোচক খাবারের জন্য কীভাবে এই ঝুঁকি নেওয়া যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নাগরিকরা। তারপরেই তদন্ত শুরু করে রেল প্রশাসন। তারপরেই সাসপেন্ড করা হয় ৫ জনকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২জন লোকোপাইলট, দুজন গেটম্যান এবং আরও একজন রেলকর্মী। 


এই ছবি মনে করিয়ে দিয়েছে আরও পুরনো একটি ঘটনা। সেটি অবশ্য আমাদের পড়শি দেশ পাকিস্তানের। সেখানে লাহোর থেকে করাচি যাওয়ার পথে একটি জায়গায় ট্রেন থামিয়ে ট্রেনচালক দই আনিয়েছিলেন।