কলকাতা: সুস্থ থাকাই কারণ হোক বা নিজের ভাল লাগা। রোগা হতে চান সকলেই। রোগের ঝুঁকিতে লাগাম দিতে ওজন কমাতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, ওজন কমানোই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় সকলের কাছে। কেউ দৈনিক খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ফেলেন। কেউ আবার শুরু করেন ব্যায়াম বা জিম। কিন্তু তাতেও যে সবসময় কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়, এমনটা নয়। তাহলে উপায়? পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, দ্রুত ওজন কমাতে গেলে নজর দিতে হবে ডায়েটে। শুধু খাওয়ার পরিমাণ কমানোই নয়, পাতে কী থাকবে সেদিকেও বিশেষ নজর প্রয়োজন। আর ঠিক সেখানেই কাজে আসতে পারে নেগেটিভ ক্যালোরি ফুড


নেগেটিভ ক্যালোরি ফুড (negative calorie food) ঠিক কী?
বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি পাচন বা হজমের সময় শরীরের বিপুল পরিমাণ ক্য়ালোরি খরচ হয়। ওজন কমাতে শরীরচর্চা এবং কম ক্য়ালোরি গ্রহণ (calorie intake) দুটিই ভারসাম্য রেখে করা প্রয়োজন। ডায়েটে নেগেটিভ ক্যালোরি ফুড থাকলে সেই প্রক্রিয়াটি ওজন কমানো সহজ এবং দ্রুত হয়। হাতের কাছেই রয়েছে এমন বেশ কিছু খাবার। একবার দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।


গাজর (Carrots)


মাটির তলায় উৎপন্ন হওয়া এই সব্জি বিভিন্ন খনিজে ভরপুর। গাজরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে-র অফুরন্ত জোগান রয়েছে গাজরে। চোখের জন্য এবং কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী গাজর। এটি একটি নেগেটিভ ক্যালোরি ফুড।


শসা (cucumber)
জলে ভরপুর এই ফল সারা বছরই জায়গা পায় পাতে। প্রয়োজনীয় ফাইবার এবং খনিজও রয়েছে এই ফলে। শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে শসা। ক্যালোরির মাত্রাও অত্যন্ত কম। ফলে ডায়েটে থাকলে ওজন ঝরাতে অত্যন্ত কার্যকর এটি। 


বেরিজাতীয় ফল (berry)
যেকোনও বেরিজাতীয় ফল নেগেটিভ ক্যালোরি ফুড।  ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি তো রয়েছেই। আঙুরও বেরিজাতীয় ফলের মধ্যে পড়ে। এতে রয়েছে ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। বিভিন্ন পদে ব্যবহার করা যায় এই ফল। মাত্র আধকাপ বেরিতে ৩০ থেকে ৩২ ক্যালোরি থাকে। দ্রুত ওজন কমাতে কাজ করে এটি।     


টম্যাটো (tomato)
চাটনি থেকে তরকারি, অথবা স্যালাড (salad)। সর্বত্র আনাগোনা এই সব্জির। বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন সি-র ভরপুর জোগান রয়েছে এই সব্জিতে। ত্বক ভাল রাখার জন্যও কাজে লাগে টম্যাটো। প্রতি একশো গ্রামে ক্যালোরির পরিমাণ কুড়িরও নীচে। নেগেটিভ ক্যালোরি ফুডের তালিকায় রয়েছে এই সব্জিও।  
  
তরমুজ (watermelon)
গরমে তুমুল চাহিদা থাকে তরমুজের। জলভর্তি এই ফল যেমন তেষ্টা মেটায়, তেমনই অসংখ্য পুষ্টিগুণ রয়েছে তরমুজে। ক্যালোরির পরিমাণও অত্যন্ত কম থাকে এই ফলে। ওজন কমাতে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা যায় এটিও। 


আরও পড়ুন: স্যালাড নয়, মেন কোর্সে থাকুক শসা, মেদ ঝরবে জলদি