জয়পুর : কেন্দ্রের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রোজেক্টের বিরোধিতা করলেও রাজ্যে বিধায়কদের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট তৈরিতে অনুমতি দিয়েছে কংগ্রেস পরিচালিত রাজস্থান সরকার। করোনাকালে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের এহেন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। ২৬৬ কোটির ১৬০টি ফ্ল্যাট তৈরির খবর প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তি বেড়েছে গেহলট সরকারের। 


কদিন আগেও কেন্দ্রের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রোজেক্ট নিয়ে মোদি সরকারকে তুলোধনা করেছে কংগ্রেস। কোভিডকালে এই বিশাল অঙ্কের প্রোজেক্ট বন্ধ করে শ্রমিক, গরিবদের দান করতে বলেছে কংগ্রেস সরকার। অথচ কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানেই দেখা গেল উল্টো চিত্র। খোদ অশোক গেহলটের রাজ্যেই বিধায়কদের থাকার জন্য তৈরি হচ্ছে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। সবথেকে বড় বিষয়, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই রাজস্থানে চালু হয়েছে এই কাজ।


রাজস্থান হাউজিং বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে গত ২০ মে ইমারতি কাজে হাত দিয়েছেন শ্রমিকরা। রাজ্যের বিধায়কদের এই ১৬০টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট তৈরিতে খরচ পড়বে ২৬৬ কোটি টাকা। হাউজিং বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৩২০০ স্কোয়্যার ফিটের এক একটা ফ্ল্যাটে থাকবে ৪টে বেডরুম। সবার জন্য আলাদা পার্কিং স্পেসের ব্যবস্থা থাকছে আবাসনে। একেবারে রাজস্থান বিধানসভার সামনেই জ্যোতিনগরে তৈরি হচ্ছে এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটগুলি। যাতে লাক্সারি প্রাইভেট ফ্ল্যাট বা বাড়ির সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে।


রাজস্থান হাউজিং বোর্ডের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথমে জয়পুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ওখানে ১৭৬টা ফ্ল্যাট গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। যদিও পরে রাজস্থান হাউজিং বোর্ড ওখানে ১৬০টা ফ্ল্যাট গড়ার অনুমতি দেয়। এই বিলাসবহুল প্রোজেক্ট তৈরিতে ৩০ মাস সময় লাগবে। যদিও তার আগেই এই কাজ সম্পন্ন করতে চাইছে হাউজিং বোর্ড। 


এ প্রসঙ্গে রাজস্থানের প্রদেশে কংগ্রেস কমিটি প্রেসিডেন্ট গোবিন্দ সিং দোটাসরা বলেন, ''আইনের সব নিয়ম মেনেই এই প্রোজেক্টের কাজ হচ্ছে।'' রাজধানীর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক চিত্র বলছে, কোভিডকালে ব্যায়বহুল সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রোজেক্ট নিয়ে মোদি সরকারের প্রবল সামালোচনা করেছে কংগ্রেস। গত মাসেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রোজেক্টকে 'ক্রিমিনাল ওয়েস্টেজ' আখ্যা দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। পুরোনো সংসদ ভবনের পরিবর্তে নতুন পার্লামেন্ট বিল্ডিং ও কমন সেন্ট্রাল সেক্রেটেরিয়েট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রাজধানীতেই তৈরি হবে এই নয়া ভবন। যা নিয়ে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলে কংগ্রেস।