জয়সলমের : ভয়ঙ্কর ! মর্মান্তিক ! চলন্ত বেসরকারি বাসে ভয়াবহ আগুন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ২০ জন যাত্রীর। আরও ১৬ জন গুরুতর জখম। এদিন জয়সলমের থেকে যোধপুর যাচ্ছিল বাসটি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর। পুলিশ জানিয়েছে, বাসে ৫৭ জন যাত্রী ছিলেন। এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ ছাড়ে বাসটি। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। PTI সূত্রের খবর, জয়সলমের-যোধপুর হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় বাসের পিছন থেকে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে বাসটি থামিয়ে দেন চালক। কিন্তু, শীঘ্রই গোটা বাস গ্রাস করে আগুনের লেলিহান শিখা।
সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা। তাঁরা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। এই অপারেশনে হাত লাগান সেনাকর্মীরাও। পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর জখম ১৬ জনকে যোধপুরের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে পোখরান প্রতাপ পুরীর বিজেপি বিধায়ক সংস্থা সংস্থাকে জানিয়েছেন, বাসেই ১৯ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আর একজনকে যোধপুরে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জয়সলমের পৌঁছে যান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। তাঁকে আধিকারিকরা ঘটনার কথা বিস্তারিত জানান। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর।
ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্য়ান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "রাজস্থানের জয়সলমের দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় আমি শোকাহত। এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।" এর পাশাপাশি তিনি মৃতদের পরিবারপিছু প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। জখমদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে।
একইভাবে এক্স হ্যান্ডেলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "জয়সলমেরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের যথাযথ চিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"