রাজস্থান: কোটার জওহরনগর থানা এলাকায় এক কোচিং ছাত্রের সঙ্গে প্রায় ৮.৫ লক্ষ টাকার প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। এই ছাত্রীটি আদপে বিহারের বাসিন্দা। সম্প্রতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। জানিয়েছেন যে বিহারের কয়েকজন ছেলে তাঁকে নিট পরীক্ষায় ভাল নম্বর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৮.৫ লক্ষ টাকা লুট করেছে। জওহরনগর থানার এসএইচও রাম লক্ষণ গুর্জর জানিয়েছেন যে ছাত্রীটি রাজস্থানের কোটায় থেকে নিট-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

নিট-এ ভাল নম্বর পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা

সেই পড়ুয়া জানিয়েছে যে বিহারের তাঁর দুই বন্ধুস্থানীয় ছেলে তাঁকে নিট পরীক্ষায় ভাল নম্বর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে যে এই প্রতারণার টাকা দিয়ে তারা ব্র্যান্ডেড দামি বিলাসবহুল জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছে। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে কোচিং পড়ুয়ার বন্ধুরা কোটায় থাকার সময় মেডিকেল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর উদ্দিষ্ট পড়ুয়া তাঁর গ্রামে ফিরে গিয়েছিল। আর এই সময়েই তাদের মধ্যে অনলাইনে টাকার লেনদেন হয়। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে এই তথ্য জানা গিয়েছে।

বোনের বিয়ের জন্য টাকা জমানো ছিল

বিহারের সেই পড়ুয়া তাঁর অভিযোগে জানিয়েছে যে সে মুজফ্‌ফরনগরের বাসিন্দা। পরীক্ষা নিয়ে আগে থেকেই সে চিন্তিত ছিল। সেই সময় তাঁর এক বন্ধু তাঁকে আমান ও সত্যম নামে দুই ছেলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, যারা বিহারের বাসিন্দা। তারা তাঁকে নিট-এ ভাল নম্বর পেতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়। তাঁর থেকে এই মর্মে ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয় সেই দুই ছেলে। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরে দেখা যায় সুযোগ পায়নি সেই ছাত্রীটি। এই অবস্থায় চরম দুঃখের কথা তাঁর পরিবারকে জানালে মাথায় হাত সকলেরই।

পড়ুয়া টাকা ফেরত চাইলে শুরু হয় হুমকি দেওয়া

এই বিহারের পড়ুয়া যখন আমান ও সত্যমের কাছ থেকে তাঁর টাকা ফেরত চান, তখন তারা অস্বীকার করতে শুরু করেন। এরপরে তারা দুজনেই পালিয়ে যান বিহার ছেড়ে। সেই পড়ুয়ার বন্ধু রাজ শুক্লাও ১ লক্ষ টাকা নিয়েছিল তাঁর থেকে, পুলিশে অভিযোগ করার পরে এর মধ্যে ৮০ হাজার টাকা তাঁকে ফেরত দিয়েছে এই বন্ধুটি।

ওএমআর শিট খালি রাখতে বলা হয়েছিল

অভিযোগে সেই ছাত্রী জানিয়েছে যে ঐ দুই ছেলে তাঁকে বলেছিল যে নিট পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্য তাদের কাছে ভাল পরিবেশ রয়েছে, তারা অন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও তাদের পাশ করিয়েছে। পরীক্ষায় শুধু ওএমআর শিট খালি রেখে দিতে হবে।