- Home
-
খবর
Rajasthan political crisis live updates: স্পিকারের বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত নোটিসের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে পায়লট, অনুগামী ১৮ এমএলএ, শুনানি বেলা তিনটেয়
Rajasthan political crisis live updates: স্পিকারের বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত নোটিসের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে পায়লট, অনুগামী ১৮ এমএলএ, শুনানি বেলা তিনটেয়
উপ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট আজ সর্বদল বিধায়ক বৈঠক ডেকেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে কিন্তু তাঁরা একজোট রয়েছেন।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
16 Jul 2020 02:19 PM
বিদ্রোহী সচিন পায়লটের বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক, কংগ্রেসের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সি পি জোশীর দেওয়া নোটিসের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে গেলেন সচিন স্বয়ং। সচিনের পাশাপাশি তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়কের সদস্যপদও খারিজ করার দাবি তুলেছে কংগ্রেস। তাঁরাও এর বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন হাইকোর্টে। বিষয়টি বেলা তিনটেয় উঠবে আদালতে। সচিনকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সম্প্রতি বরখাস্ত করা হয়েছে। স্পিকারের দেওয়া নোটিসের প্রেক্ষিতে তাঁকে ও সমর্থক বিধায়কদের শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল জবাব পাঠানোর। তবে তার আগেই আইনি লড়াইয়ের রাস্তায় গেলেন তাঁরা। কংগ্রেস সূত্রে দাবি করা হয়েছে, দলীয় হুইপ অগ্রাহ্য করে সচিন ও অনুগামী এমএলএ-রা পরিষদীয় বৈঠকে যোগ দেননি।
রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত সচিন পাইলট।
দ্বিতীয় বৈঠকেও অনুপস্থিত সচিন পাইলট, সম্ভবত ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁর বিরুদ্ধে।
বৈঠক শুরু হওয়ার কথা বেলা ১১টা থেকে।
কিন্তু শোনা যাচ্ছে, সচিন এই বৈঠকেও যোগ দেবেন না। তাঁর অফিস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ইন্দররাজ গুর্জর, পিআর মীনা, জিআর খাটানা ও হরীশ মীনার মত সচিন সমর্থক বিধায়করা মানেসরের হোটেলে রয়েছেন।
গতকালের মত আজও আর একটি বৈঠকে মিলিত হবে কংগ্রেস বিধায়ক দল। দলীয় নেতৃত্বের আশা, ক্ষুব্ধ পাইলটও অসন্তোষ ভুলে বৈঠকে যোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছাড়ার পর রাহুল চান না, তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ আর কোনও তরুণ নেতা দল ছেড়ে চলে যান। তাঁর চাপেই রণদীপ সুরজেওয়ালা গতকাল প্রকাশ্যে পাইলটকে অনুরোধ জানান, বিধায়ক দলের বৈঠকে যোগ দিতে।
মঙ্গলবার সকালের খবর: উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের প্রকাশ্য বিদ্রোহের পর কংগ্রেসের হাইকমান্ড আসরে নেমেছে তাঁকে বোঝাতে। শোনা যাচ্ছে, রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা ভঢরা দুজনেই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। বরিষ্ঠ নেতারা নাকি তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন, বোঝাচ্ছেন, যেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করেন তিনি। তাঁর অসন্তোষের বিষয়গুলি দেখা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাহুল-প্রিয়ঙ্কা ছাড়াও আহমেদ প্যাটেল, পি চিদম্বরম এবং কেসি বেণুগোপাল যোগাযোগ করেছেন তাঁর সঙ্গে।
অশোক গেহলটের ২ ঘনিষ্ঠর ২২টি সম্পত্তিতে এক সঙ্গে আয় কর হানা, ইডি কবে আসবে? প্রশ্ন রণদীপ সুরজেওয়ালার।
গেহলোটের সঙ্গে ১০৯ জন বিধায়কের সমর্থন, ১০০ জনের সমর্থন পেলেই রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার টিকে যাবে।
শোনা যাচ্ছে, সচিনের সঙ্গে ৩ নির্দল সহ ৪১ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। এঁদের রাখা হয়েছে মানেসরের হোটেলে।
হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপেও কাটল না জট, অশোক গেহলটের সঙ্গে সংঘাত তীব্রতর হল সচিন পাইলটের। আজকের কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ দিতে হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস, যোগ না দিলে সদস্যপদ কেড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এভাবে আচমকা রণকৌশল বদলানোয় প্রশ্ন উঠেছে, তাঁর মনে কোনও প্ল্যান বি আছে কিনা। হয়তো যে বিধায়করা তাঁকে সমর্থনের অঙ্গীকার করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজন পিছু হঠেছেন। শোনা যাচ্ছে, তাঁর দিকে থাকা ৩ বিধায়ক সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গেহলট সরকারকে।
গতকাল গভীর রাতে সচিন পাইলট এবিপি আনন্দের কাছে দাবি করেছেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না। এই বিবৃতিতে অবশ্য অনেকেই বিস্ময়ে, কারণ গতকালই তিনি রাজস্থানের অশোক গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন, দেখা করেন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: সম্ভবত আজই বিজেপিতে যোগ দেবেন কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতা, রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। গতকাল তিনি দেখা করেছেন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে। জয়পুরে ফিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নেতৃত্বে সর্বদলের বিধায়কদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, অনুগত কয়েকজন বিধায়ক নিয়ে সচিন দিল্লি আসেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে। রাজস্থান কংগ্রেসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে কোণঠাসা হয়ে পড়া নিয়ে আলোচনা চাইছিলেন তিনি। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, রাহুল তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন, জয়পুর ফিরে গিয়ে গেহলটের অধীনে কাজ করতে, দলের শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রাখতে। তবে সচিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনওভাবেই তিনি বিধায়কদের বৈঠকে যোগ দেবেন না, তাঁর দাবি, তাঁর সঙ্গে ৩০ জন বিধায়কের সমর্থন আছে।
উপ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট আজ সর্বদল বিধায়ক বৈঠক ডেকেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে কিন্তু তাঁরা একজোট রয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর সরকার যখন করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়তে ব্যস্ত, তখন বিজেপি রাজনীতি করে কংগ্রেস বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করছে।