নয়া দিল্লি: পহেলগাঁও হামলার পর প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানকে দুরমুশ করেছে ভারত। বায়ুসেনার অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবিরোধী প্রত্যুত্তর দিয়েছে ভারত। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জানিয়েছেন যে, এখনও চলছে অপারেশন সিঁদুর। এরই মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতের প্রথম স্বদেশী বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত পরিদর্শন করেছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, 'অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের জন্য আমি আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। পহেলগাঁওয়ে কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলার পর ভারত যখন অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল, তখন আমাদের বাহিনী যে গতির সঙ্গে কাজ করেছিল তা ছিল আশ্চর্যজনক। এটি কেবল সন্ত্রাসবাদীদেরই নয়, তাদের লালন-পালনকারী পৃষ্ঠপোষকদেরও একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল যে ভারত আর সহ্য করে না, ভারত এখন সরাসরি জবাব দিচ্ছে।' পাশাপাশি তিনি এও বলেন, '১৯৭১ সাল এর সাক্ষী, যখন ভারতীয় নৌবাহিনী যুদ্ধে নামে, তখন পাকিস্তান এক থেকে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনী অপারেশন সিঁদুরে নামত, তাহলে পাকিস্তান কেবল দুটি ভাগে বিভক্ত হত না, বরং আমার মনে হয় এটি চার ভাগে বিভক্ত হত"।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বর্তমানে আরব সাগরে মোতায়েন করা আইএনএস বিক্রান্তের পরিদর্শনের সময় বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি অপারেশনাল প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন, নৌবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসাও করেছিলেন।
রাজনাথ সিং বলেন, 'এটা বললে অত্যুক্তি হবে না যে শত্রুর গতিবিধি শুরু হওয়ার আগেই আপনাদের উপস্থিতি তাদের থামিয়ে দিয়েছিল। আমি ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি অফিসার, প্রতিটি সেনা এবং প্রতিটি নাগরিককে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। মজার বিষয় হল, পাকিস্তানও আপনাদের সাহসিকতার কথা ভাল করেই জানে। পাকিস্তান জানে যখন ভারতীয় নৌবাহিনী পূর্ণ গতিতে এগিয়ে যায় তখন কী হয়। আজ আমি আইএনএস বিক্রান্তে আমার নৌ যোদ্ধাদের মধ্যে থাকতে পেরে খুব খুশি। যখন আমি ভারতের সামুদ্রিক শক্তির গর্ব আইএনএস বিক্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকি, তখন আমি আনন্দিত এবং গর্বিত এবং আত্মবিশ্বাসী বোধ করি যে যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের সামুদ্রিক সীমান্তের নিরাপত্তা আপনাদের শক্তিশালী হাতে থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ ভারতের দিকে বাঁকা চোখে তাকাতে পারবে না।'