অযোধ্যা: প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর, আজ থেকে সকলের জন্য খুলে গেল অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Mandir)। গতকাল প্রধানমন্ত্রী-সহ বিশিষ্ট অতিথিরা চলে যাওয়ার পরেই অযোধ্যার রাস্তায় মানুষের ঢল। দলে দলে লোক চলেছে রাম মন্দিরের দিকে। নতুন রামলালার দর্শন পেতে গতকাল রাত ৩টে থেকে মন্দিরের গেটের সামনে অপেক্ষা করেছেন হাজার হাজার মানুষ।
আপনি যদি রাম মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে পুজো, আরতির সময়, কীভাবে গেট পাস পাবেন, তা জেনে নেওয়া যেতে পারে। বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা না মানলে রামলালা দর্শনে সমস্যা হতে পারে।
ভক্তরা কখন এবং কীভাবে রামলালার দর্শন পাবেন?
২৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ৩টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মিলবে রামলালার দর্শন। বিকেলে মন্দির প্রায় আড়াই ঘণ্টা ভোগ ও বিশ্রামের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে সন্ধ্যা ৭টার পর আর রামলালার দর্শন হবে না।
রাম মন্দিরে কতবার আরতি হবে?
অযোধ্যায় রাম মন্দিরে তিনবার আরতি হবে। প্রথম আরতি হবে সকাল সাড়ে ৬টায় শৃঙ্গার আরতি, দ্বিতীয়টি – দুপুর ১২টায় (ভোগ আরতি) এবং তৃতীয়টি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় (সন্ধ্যা আরতি)। মন্দিরে প্রবেশের জন্য কোনও ফি দিতে হবে না।
রাম মন্দিরে আরতির জন্য পাস বাধ্যতামূলক?
রাম মন্দিরের আরতিতে অংশ নিতে, আপনি শ্রী রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট থেকে একটি 'পাস' নিয়ে নিতে পারেন। আরতিতে অংশগ্রহণের জন্য 'পাস' বাধ্যতামূলক হবে। আরতি শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পাস পাওয়া যাবে। পাস পেতে, আপনাকে সরকারী পরিচয়পত্রের প্রমাণ বহন করতে হবে।
রামভূমি অযোধ্যার দর্শন করুন এবিপি মেটাভার্সে। ক্লিক করুন।
এটি কি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে?
এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিনামূল্যে পাস ইস্যু করা হবে। আরতিতে একবারে মাত্র ৩০ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পরে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
বিশেষভাবে সক্ষম এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য বাড়তি কোনও সুবিধা?
বয়স্ক বা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা যদি দর্শনে যান এবং হাঁটতে অক্ষম হন, তাহলে তাদের জন্য বিনামূল্যে হুইলচেয়ার সুবিধাও রয়েছে। আপনি যদি একজন হুইলচেয়ার চালক ভাড়া করেন তবে আপনাকে তার নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
আপনি এই জিনিসগুলি মন্দির চত্বরে নিতে পারবেন না
রাম মন্দিরে যাওয়ার আগে আপনাকে আপনার ফোন বাইরে রাখতে হবে। এর জন্য বিনামূল্যে লকার সুবিধা পাওয়া যায়। যেটিতে আপনি আপনার ফোন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখতে পারবেন।
কীভাবে রাম মন্দির পৌঁছবেন ?
আপনি ট্রেন, বাস বা প্লেনে অযোধ্যায় যেতে পারেন। অযোধ্যা রেলস্টেশন থেকে মন্দিরের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। অযোধ্যার মহর্ষি বাল্মিকী বিমানবন্দর থেকে মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ১৭ কিলোমিটার। লখনউ বিমানবন্দর থেকে সড়কপথেও অযোধ্যায় যাওয়া যায়। এর জন্য ১৬০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে।
আরও পড়ুন, রামলালাকে দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড়, জনস্রোত সামলাতে কড়া নিরাপত্তা