অযোধ্যা: গত বছরও অযোধ্যার রামমন্দিরে মধ্যাহ্নে সূর্যতিলক আরতি অবাক চোখে দেখেছিল গোটা বিশ্ব। অন্ধকার গর্ভগৃহের একটি কোনা থেকে আসছে সূর্যরশ্মি আর তা ঠিকরে পড়ছে রামলালার ললাটে। প্রযুক্তির সাহায্যে কী অপরূপ সৃষ্টি। অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামনবমীতে রামললার সূর্যাভিষেক দেখল গোটা দেশ। সকাল থেকেই রামললার পুজো শুরু হয়েছিল ধুমধাম করে। রামনবমীর দিন রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামললার দর্শনের জন্য এসেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রবিবার বহু ভক্ত মুগ্ধ হয়ে দেখলেন সূর্যাভিষেক।
রামায়ণ অনুসারে, ত্রেতা যুগে রাম-রূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন শ্রীবিষ্ণু। তিনি সূর্যবংশীয় রাজা দশরথের জ্যেষ্ঠপুত্র। কথিত আছে, যখন ভগবান রামের জন্ম হয়েছিল, তখন স্বয়ং ভগবান সূর্য এক মাস ধরে তাঁর লীলা দেখেছিলেন। তাই এই রামনবমীতে চার মিনিট ধরে শ্রীরামের ললাটে আঁকা হয় সূর্য তিলক। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে মধ্যাহ্নসূর্যের রশ্মিকে ফেলা হয় রামলালার মূর্তির দুই ভ্রুর মাঝে। ঠিকরে বের হয় দ্যুতি। ভক্তদের কাছে এ এক রোমাঞ্চকর মুহূর্ত।
দেশ - বিদেশের বহু ভক্ত, কেউ অযোধ্যায় গিয়ে , কেউ টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখে অপেক্ষা করছিলেন এই মুহূর্তটার জন্য । বহু বিজ্ঞানীর গবেষণার ফল এই সূর্যতিলক। এদিন অযোধ্যায় রামমন্দিরে সকাল থেকে স্তোত্র, পাঠ হয়। তারপর পাঠ করা হয় রামায়ণের সুন্দরকাণ্ড। পাঠ করা হয় হনুমান চালিসাও। কারণ ভক্ত বজরঙ্গবলীর আরাধনা ছাড়া শ্রীরামের পুজো অসম্পূর্ণ। এই পুরো অনুষ্ঠানটি দূরদর্শনে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। সেই সঙ্গে অযোধ্যা সহ অনেক শহরে বড় বড় এলইডি স্ক্রিনে এর লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছিল। রামনবমী তিথিতে অযোধ্যায় লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে।
রামনবমীকে মাথায় রেখে মন্দিরে দর্শনের সময়সূচীতেও পরিবর্তন করা হয়েছে। এই নিয়ে রাম মন্দিরে দ্বিতীয়বার সূর্যাভিষেক হল।