নয়াদিল্লি: রমজান নিয়েও এবার রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হল। রমজান উপলক্ষে সময়ের আগে কর্মীদের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল তেলঙ্গানার কংগ্রেস সরকার, যার তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি। এখন আবার অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ডু সরকারও একই নির্দেশিকা জারি করেছে। নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি  জাতীয় স্তরে বিজেপি-র জোটসঙ্গী। (Ramzan Order Row)


কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গানায় সম্প্রতি রমজান উপলক্ষে কর্মীদের নির্ধারিত সময়ের আগে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।  বলা হয়, ২ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংখ্যালঘু কর্মীরা, শিক্ষক, ঠিকাকর্মী এবং গণবিভাগের সকলে বিকেল ৪টেয় কাজ সেরে বেরিয়ে যেতে পারেন। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন যদিও সেই সুবিধা পাননি। (Telangana-Andhra Pradesh)


ওই নির্দেশিকা সামনে আসার পরই তেলঙ্গানার কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে বিজেপি। রাজনৈতিক তুষ্টিকরণের অভিযোগ তোলে তারা। বিজেপি বিধায়ক রাজা সিংহ বলেন, ‘রমজানের জন্য় আগেভাগে অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তেলঙ্গানায়। অথচ হিন্দু উৎসবের সময় এমনটা হয় না। প্রত্যেকের সমান অধিকার প্রাপ্য, তা না হলে কেউই পাবেন না’।



কিন্তু সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই বিজেপি-র জোটসঙ্গী, TDP একই নির্দেশিকা জারি করেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানেও রমজান চলাকালীন মুসলিম কর্মীদের নির্ধারিত সময়ের আগে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘যাঁরা ইসলামের অনুগামী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ঠিকাকর্মী, গ্রাম সচিব, পবিত্র রমজান মাসের রীতিনীতি পালনের জন্য সকলেই এক ঘণ্টা আগে বেরিয়ে যেতে পারেন। শুধু জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁদের প্রয়োজনে উপস্থিত থাকতে হবে’।



সেই নিয়ে বিজেপি-কে কটাক্ষ করেছেন তেলঙ্গানার কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক  উপদেষ্টা মহম্মদ আলি শাব্বির। তিনি জানিয়েছেন, ভারত রাষ্ট্র সমিতির সময় থেকেই তেলঙ্গানায় এই নিয়ম চালু রয়েছে। বিজেপি-র সরকার অন্য রাজ্যে একই নীতি মেনে চলছে। বছরের পর বছর ধরেই চলে আসছে এমনটা। গণেশ চতুর্থী, বোনালুর সময়ও এই সুবিধা পান সকলে। ইচ্ছাকৃত ভাবেই বিজেপি বিভাজন তৈরি করতে চাইছে বলে মত তাঁর।