ছোট্ট শহর রতলাম। এখানেই ৮ বছর আগে বিয়ে করে এসেছিল একটি মেয়ে। এখন সেখান থেকেই ফের নতুন জীবন শুরু করল সেই মেয়ে। এই পরিবারের কথাই এখন মুখে মুখে ফিরছে সেখানে।
শ্বশুর-শাশুড়ি উদ্যোগ নিয়ে রীতিনীতি মেনে বিয়ে দিলেন বিধবা পুত্রবধূর। লকডাউন বিধি মেনেই হল বিয়ে। সাক্ষী থাকল পরিবারের গুটিকয়েক মানুষ। কিন্তু আন্তরিকতায় কোনও ঘাটতি পড়ল না।
৮ বছর আগে মোহিতের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনমের। সুখেই চলছিল সংসার। কিন্তু ৩ বছরের মাথায় মোহিতের ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেই সময় দিনরাত এক করে স্বামীর সেবা করেছিলেন সোনম। কিন্তু ৩ বছর রোগভোগ করে মারা যান মোহিত।
ছেলের মৃত্যুর পর পুত্রবধূকে নিজের মেয়ের মতোই দেখতেন শ্বশুর-শাশুড়ি। অবশএষ এই বছর সোনমকে নতুন জীবন দেবেন বলে ঠিক করেন তাঁরা। তারপরই নাগদা নিবাসী সৌরভ জৈনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে ফেলেন তাঁরা। নিজে হাতে করলেন কন্যাদান।
সোনমের শ্বশুরমশাই জানালেন, তাঁদের বয়স হচ্ছে। তাই কন্যাসমা পুত্রবধূকে ভাল পাত্রের হাতে দিয়ে যেতে চাইছিলেন। বললেন, সোনম শিক্ষিত, বুদ্ধিমতী। আশা করি ওঁদের জীবন সুখের হবে।
কথা ছিল নাগদাতেই সম্পন্ন হবে বিয়ে। সেইমতো আত্মীয়-পরিজনদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল হোটেলেরও। কিন্তু লকডাউনের জেরে সেই আয়োজন সম্ভব হয়নি। বিয়ে হয়েছে মোহিতের মামার বাড়ি থেকেই।