নয়াদিল্লি: ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাইশ গজে কোনও ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করে নতুন বলে। যখন বলের পালিশ চকচক করবে। পেসারের হাত থেকে বেরিয়ে তা হাওয়ায় সুইং করে বোকা বানাবে ব্যাটসম্যানদের। কখনও চকিতে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাটের কানা খুঁজে নিয়ে বন্দি হবে স্লিপ কর্ডনে। কখনও আবার অতর্কিতে ভেতরে ঢুকে এসে প্যাডে আছড়ে পড়বে। বা ব্যাট-প্যাডের মধ্যে দিয়ে ছিটকে দেবে স্টাম্প।


ডেভিড ওয়ার্নারও সেই মতেই বিশ্বাসী। বিধ্বংসী অস্ট্রেলীয় ওপেনার জানালেন, তাঁরা নতুন বলের পালিশটা তুলে দেন। আর তারপর বল পুরনো হলে বাইশ গজে ব্যাট হাতে দাপিয়ে বেড়ান বিরাট কোহলি-স্টিভ স্মিথরা। বিরাট-স্মিথের সাফল্যের নেপথ্যে প্রকৃত অবদান ওপেনারদেরই।

শুক্রবার সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে ভিডিও চ্যাট করেন ওয়ার্নার। ভারতীয় ওপেনারকে ওয়ার্নার বলেন, ‘লোকে বলে কোহলি ও স্মিথই বিশ্বের সেরা। কিন্তু ওদের বিখ্যাত করেছি আমরাই। কারণ আমরাই নতুন বলের পালিশটা তুলে দিই। ওপেনার হিসাবে আমাদের কাজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে কীভাবে ইনিংস ওপেন করা সুযোগ পেয়েছিলেন, সেটাও রোহিতকে বলেছেন ওয়ার্নার। ‘আমি মিডল অর্ডারে খেলতাম। বিস্ময়কর হলেও সেটা সত্যি। ২০০৯ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে খেলার সময় আমাদের অধিনায়ক ছিল ডমিনিক থর্নলি। ফিল হিউজ ওপেন করত আর আচমকাই একটা ম্যাচে আমাকে ওর সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে বলা হয়,’ বলেছেন ওয়ার্নার।

রোহিত আবার নিজের পার্টটাইম বল করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। ওয়ার্নারকে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্সের হয়ে আইপিএলে হ্যাটট্রিক করেছিলাম। পরপর তিন বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম অভিষেক নায়ার, হরভজন সিংহ ও জেপি ডুমিনিকে।’