নয়াদিল্লি:  রিয়াসিতে বাসে জঙ্গিহানার ঘটনায় তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে। আগেই এক সূত্র দাবি করেছিল, এই হামলায় পাক জঙ্গিদের ইন্ধন ও যোগাযোগ থাকতে পারে। গতকাল সকাল অবধি সেনাবাহিনী বা নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে এই তথ্য সমর্থন করা হয়নি। তবে এখন জানা যাচ্ছে এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে  ৪ জন বিদেশী নাগরিক। নিরাপত্তারক্ষীরা ( Security agencies) ইতিমধ্যেই যাদের গ্রেফতার করেছে তার মধ্যে রয়েছে দুই বিদেশী। নাম আবু হামজা ও অধুন । এই জঙ্গি হামলায় পুলিশ ৬ থেকে ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। 


এনটিভির প্রতিবেদনে প্রকাশ, সন্ত্রাসবাদীরা হামলায় এম 4 কার্বাইন ( M4 carbines ) ব্যবহার করেছিল বলে সূত্রের খবর। এগুলি আমেরিকার তৈরি অ্যাসল্ট রাইফেল (American-made assault rifles)।  ১৯৮০ র পর সারা বিশ্বে  বিভিন্ন সামরিক বাহিনীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়েছে এই রাইফেল। পাকিস্তানের স্পেশাল ফোর্স (  Pakistani special forces)  ও সিন্ধ পুলিশের বিশেষ বাহিনী ( Special Security Unit )এই অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে বলে সূত্রের দাবি। 


ইন্ডিয়া টুডে টিভির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , রিয়াসি হামলার ঘটনায় মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখা এক যাত্রী জানিয়েছেন, বাসটি খাদে পড়ে যাওয়ার পরও জঙ্গিরা গুলি চালাচ্ছিল, যাতে সবাই যে মারা গিয়েছে , তা নিশ্চিত হয়।  তাই তাঁরা মৃতের ভান করেন। 


প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি,  ছয় থেকে সাতজন সন্ত্রাসবাদীর মুখ ঢাকা ছিল। বাসটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে গুলি ছোড়া হয়। বাসটি যখন খাদে পড়ে যায়,তখন তারা এগিয়ে আসে জঙ্গিরা। সবাই মারা গিয়েছে নিশ্চিত করতে গুলি চালাতেই থাকে।  ২০ মিনিট ধরে গুলি চালায় তারা।  বাসে শিশু এবং মহিলারাও ছিল এবং সবাই আহত হয়। এই হামলার ১০ থেকে  ১৫ মিনিট পর পুলিশ এবং স্থানীয়রা উদ্ধার করতে আসে।