নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে বেড়েছে ভূমিকম্পের প্রবণতা। আর তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, কেন এই অবস্থা তা জানতে পরীক্ষামূলক গবেষণা করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।


এদিন লোকসভাতে ভূ বিজ্ঞান মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, শুধুমাত্র ২০২০ সালে দেশে ৯৬৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। যার মধ্যে ১৩ বার ভূমিকম্প হয়েছে দিল্লি সংলগ্ন এলাকায়। তাঁর কথায়, গত বছর ৯৬৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে যার কম্পনের মাত্রা ৩। এই পরিস্থিতিতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। তাই পরীক্ষামূলক গবেষণা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র অনুমোদন দিলে এই সংক্রান্ত কাজে এগোনো হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের যৌথভাবে এই কাজ করব আমরা।

ভূ বিজ্ঞান মন্ত্রকের শাখা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি চৌম্বকীয় ভূতত্ত্ব সমীক্ষা শুরু করবে। আইআইটি কানপুর, দেরাদুনের ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অব হিমালায়ান জিওলজি যৌথভাবে এই সমীক্ষা করবে। উপগ্রহ ছবি ব্যবহার করে দিল্লিতে এই সমীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে। কেন এই সমীক্ষা? সূত্রের খবর, দিল্লি বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ঠিক কোথায় ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা তার চরিত্র কেমন, সেটা বোঝার জন্য এই সমীক্ষা। বর্তমানে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বর্তমানে ১১৫টি ভূমিকম্প কেন্দ্র নিয়ে পর্যালোচনা করছে।

গত বছর উত্তর ভারত সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে ঘন ঘন ভূকম্প হচ্ছে। গত বছর ১৮ ডিসেম্বর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি সহ আশেপাশের এলাকা। ঘড়ির কাঁটা তখন প্রায় রাত ১২ টা ছুঁই ছুঁই। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানায়, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.২। গুরুগ্রামের ৪৮ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল। পাশাপাশি মণিপুর এবং অরুণাচল প্রদেশে গত কয়েক মাসে একাধিকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলোজির রিপোর্ট অনুযায়ী, মণিপুরে গত বছর ১১ মে, ২৫ মে, ২৮ জুন, ৭ আগস্ট, ১১ অগাস্ট এবং ৩১ আগস্ট ভূমিকম্প হয়েছে। তেমনি অরুণাচল প্রদেশে গত বছর ৭ এপ্রিল, ১৭ এপ্রিল, ১৭ মে, ৩০ জুলাই এবং ১২ আগস্ট ভূমিকম্প হয়েছে। এছাড়া, মিজোরাম এবং অসমেও একাধিকবার ভূমিকম্প হয়েছে। এত ঘনঘন ভূমিকম্প চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের কপালে।