নয়া দিল্লি :  দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ কি আত্মঘাতী হামলা? একের পর এক সঙ্গী ধরা পড়ে যাওয়াতেই কি মরিয়া হয়ে তড়িঘড়ি করে এই অ্যাকশন প্ল্যান করেছিল ডাক্তার  উমর উন নবি ? এই বিষয়টিই সবার আগে গোয়েন্দাদের মাথায় আসে। আলোচনায় আসে আত্মঘাতী হামলার তত্ত্ব। তবে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন দিক আসছে সামনে। এখন গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এটা কোনও আত্মঘাতী হামলা নয়।

Continues below advertisement

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধের ঘটনাপ্রবাহ দেখে, প্রাথমিক তদন্তে তাদের ধারণা, এটা কোনও আত্মঘাতী হামলা নয়।  এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পর থেকেই এই দুটো প্রশ্ন তাড়া করছে। সূত্রের খবর, পুলওয়ামা, ফরিদাবাদ, দিল্লি-এনসিআর-এর যৌথ তল্লাশি অভিযানে জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস হওয়ার পর চাপে পড়ে গিয়েছিল সন্দেহভাজন জইশ জঙ্গি উমর উন নবি। বিশেষ করে, চিকিৎসকদের সন্ত্রাস ব্রিগেডের একের পর এক সদস্য ধরা পড়ে যাওয়ায়, আরও বেশি চাপে ছিল পুলওয়ামার বাসিন্দা ওই চিকিৎসক। তাহলে কি গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করে অন্যত্র পালানোর ছক ছিল উমরের? পালাতে গিয়েই কি তড়িঘড়ি ঘটে যায় দুর্ঘটনা? নাকি পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলে, বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল ?  

তবে এখন সংবাদ সংস্থা এএনআই গোয়েন্দা সুত্রের উল্লেখ করে লেখে, দিল্লির লাল কেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে বিস্ফোরণটি কোনও সাধারণ আত্মঘাতী হামলা ছিল না, তবে সন্দেহভাজন ব্যক্তি আতঙ্কিত হয়ে অকালেই এটি ঘটিয়ে থাকতে পারে ।                       

Continues below advertisement

সাধারণত কোনও আত্মঘাতী হামলা হলে গাড়িটি কোনও টার্গেটে ধাক্কা মারে। তাই মনে করা হচ্ছে সন্দেহভাজন ব্যক্তি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলার স্বাভাবিক যে ধরণ, তা অনুসরণ করেনি। এমন কোনও জনবহুল বাজার বা জমায়েতের জায়গায় এই ঘটনা ঘটলে আরও বড় বিপদ ঘটে যেত, তা না করে রাস্তায় চলতে চলতে বিস্ফোরণ আত্মঘাতী হামলার ক্ষেত্রে হওয়ার কথা নয়।  এছাড়া ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি একেবারেই সময়কাল পেরিয়ে যাওয়া অনুন্নত মানের ছিল। বিস্ফোরণের ফলে কোনও গর্তও তৈরি হয়নি এবং ঘটনাস্থল থেকে কোনও প্রজেক্টাইল উদ্ধার করা হয়নি। ডিভাইসটি যখন বিস্ফোরিত হয় তখন গাড়িটি চলছিল। তা থেকেই মনে হয়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি চাপের মুখে তাড়াহুড়ো করে কাজটি করে থাকতে পারে