কলকাতা: দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশনের পর এবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কারও কথায় ত্রাণ দেওয়া হবে না। ক্ষতিগ্রস্তরাই সরাসরি আবেদন জানাতে পারবেন। পাল্টা স্বচ্ছতা রাখতে ত্রাণ প্রাপকদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। আগামী ৩ থেকে ১৮ জুন 'দুয়ারে ত্রাণ' শিবিরে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন নেওয়া হবে। এবার আর কারও মাধ্যমে নয়, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত, তিনি সরাসরিই আবেদন জানাতে পারবেন।
একবছরের মধ্যে আবার একটা ঘূর্ণিঝড়। আবার প্রকৃতির রোষে আশ্রয়হীন বহু মানুষ। আবার সহায়-সম্বলহীন অবস্থায়, অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে দিন কাটানো। ইয়াসের দাপটে ঘরবাড়ি হারানো সেই দুর্গতদের জন্যই এবার 'দুয়ারে সরকার' কিংবা 'দুয়ারে রেশন'-এর আদলে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, '১৫ দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচি। অফিসাররা গ্রামে যাবে। সরাসরি তাঁদের কাছে আবেদন করতে হবে। আমার নাম ও দিল না, এরকম যেন হয়না। কারোর কথায় ত্রাণ দেওয়া হবে না। প্রতিটি আবেদনপত্র খুঁটিয়ে দেখা হবে। ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় নেব। ১ জুলাই থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে ত্রাণ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এবার আর কারও মাধ্যমে নয়, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত, তিনি সরাসরিই আবেদন জানাতে পারবেন। কারও কথায় কোনও ত্রাণ বণ্টন হবে না। খতিয়ে দেখে ত্রাণ বিলি করা হবে। ত্রাণের জন্য আবেদন করার বাক্স থাকবে। সেখানে আবেদন করা যাবে
গতবার আমফানের পর বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিপূরণ বিলিতে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে এই বিষয়টিকে লাগাতার ইস্যু করে বিজেপি শিবির। এরপর ফের জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার দুর্গতদের ক্ষতিপূরণ দিতে সম্পূর্ণ অন্য পথে হাঁটলেন তিনি। বিজেপির অবশ্য দাবি, কারা ত্রাণ পেল, সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ট্যুইট করে বলেন, ইয়াসের ত্রাণকার্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ইস্টার্ন কমান্ড, ভারতীয় নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী, BSF, বিপর্যয় মোকাবিলা দলের দৃষ্টান্তমূলক দায়বদ্ধতা এবং সমন্বয়ের প্রশংসা করছি।
তবে এরপরই তিনি লেখেন, ত্রাণ বিলি এবং পুনর্বাসনের কাজ স্বচ্ছভাবে হওয়া উচিত। সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো উচিত।