নয়াদিল্লি: ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে অতিথি হিসাবে আসার কথা ছিল ভারতে। আসতে পারেননি নিজের দেশে কোভিড-১৯ এর নতুন স্ট্রেন মাথাচাড়া দিয়ে বিপজ্জনক মাত্রা নেওয়ায়। তাই এ বছরের শেষে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। ভারতীয়দের প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিকতার স্বার্থে একইসঙ্গে লড়াই করছে ভারত এবং ব্রিটেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দেওয়ার কথা ছিল জনসনের। দিল্লির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন তিনি। এমনটাই ঠিক ছিল। তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমন্ত্রণ গ্রহণও করেন জনসন। কিন্তু পরে সেই চিত্র বদলে যায়। করোনা আবহে ভারতে আসছেন না বলে জানা যায়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের একটি অসাধারণ সংবিধান আছে যা তাকে বিশ্বের বৃহত্তম সার্বভৌম গণতন্ত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই বছরই ভারতে আশার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আপানার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেয়েছিলাম। এদিকে আমাদের একসঙ্গে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইও করতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে লন্ডনে থেকে যেতে হল আমাকে। মানবিকতার স্বার্থে দুটি দেশ মহামারী মুক্ত করতে সহায়তা করবে। ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিতরণে পাশাপাশি কাজ করছে তারা। ব্রিটেন, ভারত সহ অন্যান্য দেশ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে। আমাদের বন্ধুত্বকে জোরদার করতে এই বছরের শেষের দিকে ভারত সফরে যেতে পারি।
ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন থেকে সংক্রমণের ভয়ে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। আর তাতেই বাতিল হয়ে যায় জনসনের ভারত সফর। গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রথম করোনার এই স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া যায় ব্রিটেনে। ডিসেম্বর থেকে মেলে সংক্রমণের খবরও। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভাইরাসে অন্য স্ট্রেনের তুলনায় এই স্ট্রেনের সংক্রমিত হওয়ার ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি। এই আবহে একাধিক দেশ কড়া বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। নতুন স্ট্রেন থেকে আক্রান্ত হয়েছেন বিদেশ ফেরত ভারতীয়রা।