নয়াদিল্লি:দেশজুড়ে হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও। গোষ্ঠী সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছে দেশের মানুষ। সকলে প্রতিষেধক আবিষ্কারের অপেক্ষায়। বিভিন্ন দেশেই চলছে তার কাজ। এরই মধ্যে স্বস্তির কথা শোনাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ভারতে প্রতিষেধক আবিষ্কারের গবেষণা সঠিক দিশায় এগিয়ে চলেছে বলে আশ্বাস দিল মন্ত্রক।
মঙ্গলবার মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব অগ্রবাল বলেন, আক্রান্তদের ‘কনট্যাক্ট ট্রেসিং’ ও ‘ক্লাসটার কনটেনমেন্ট’ করে সংক্রমণ আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোনও আক্রান্তের খোঁজ মেলা মানেই সরকারের কাছে তা হটস্পটের মতো। এবার ‘ক্লাসটার কনটেনমেন্ট’ পদ্ধতিতে তার সংষ্পর্শে কারা এসেছিল, তা খুঁজে বার করা হয়। তারপর সেই সম্ভাব্য তালিকার মানুষদের উপর নজর রাখা হয়। এভাবেই চলছে করোনা সংক্রমণ আটকানোর লড়াই।
কোভিড ১৯ প্রতিরোধে অবিরাম কাজ করে চলা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে যাতে সংক্রমণ না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য আরও সামগ্রী আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রক দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও তুরস্কের মতো কয়েকটি দেশের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কথা বলছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব আরও বলেন, যাঁদের সর্দি-কাশি হয়েছে, তাঁরাই শুধু মাস্ক ব্যবহার করুন। কিন্তু যেভাবেই হোক সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখুন। শুধুমাত্র, তথ্য দিতে দেরি করছেন বলেই সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়টি উত্থাপন করেন। জানান, সরকারের তরফে ৬৬ হাজারেরও বেশি শ্রমিককে মাথার ছাদ দেওয়া গেছে। ২৩ লাখ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তাই এই সমস্যা এখন অনেকটাই আয়ত্বে বলে দাবি করে মন্ত্রক।
ওই সাংবাদিক বৈঠকে আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়, তারা ডিপার্টমেন্ট অফ বায়ো টেকনোলজি ও CSIR এর সঙ্গে কোভিড ১৯ এর প্রতিষেধক তৈরির কাজ করছে।