কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে চলছে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি। এই পর্বে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য থেকে পুলিশ প্রশাসন। এদিন টালা থানার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি পর্বে, বিচারপতি পারদিওয়ালা মন্তব্য করেন 'এই মামলায় রাজ্য যা করেছে, তা আমি ৩০ বছরে দেখিনি।'
একের পর এক প্রশ্নের মুখে: এদিন আর জি কর-মামলায় রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুলিশকে তুলোধোনা করল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের আইনজীবীর দেওয়া টাইমলাইন নিয়ে ছত্রে ছত্রে প্রশ্ন তুলল সর্বোচ্চ আদালত। পড়ুয়া-চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার থেকে শুরু করে, ময়নাতদন্ত এবং FIR দায়ের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্ন, 'FIR দায়েরের আগে কী করে ময়নাতদন্ত হল?' এদিন শীর্ষ আদালত প্রশ্ন করে, 'সকাল সাড়ে ১০টায় অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়, সন্ধে সাড়ে ৬টা-সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত। এরপর রাত সাড়ে ১১টায় কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হল? অপরাধের জায়গা সুরক্ষিত করতেই বা এত দেরি হল কেন?' টাইমলাইন নিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বলের সাফাই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান বিচারপতি।
চিকিৎসক খুন-ধর্ষণের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণে দেরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। খুনের জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, 'পরের বার শুনানির সময় যখন আসবেন, তখন একজন দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসারকে নিয়ে আসবেন। কেননা আমরা এখনও এই প্রশ্নের উত্তর পাইনি যে, কখন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, 'এ নিয়ে কপিল সিব্বল যা সাফাই দিচ্ছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়।'
এদিকে আর জি কর-কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে সপ্তাহব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। পরপর ৭ দিন, ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির প্রাক্তন অধ্যক্ষ। চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের জট খুলতে আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গত ৬ দিনে সন্দীপকে ৭৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CBI. এদিনও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেননি আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: RG Kar Case Hearing: 'কাজে যোগ দিন,' আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বার্তা সুপ্রিম কোর্টের