মুম্বই: ফের তরজা.. ফের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ.. শেষ হয়েও যেন বার বার শিরোনামে ফিরে আসে সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু প্রসঙ্গ। ভাইয়ের মৃত্যুর ২ বছর পরে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য সুশান্তের দিদি প্রিয়ঙ্কা। একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুস্মিতার দাবি, জীবনে রিয়া আসার পর থেকেই খারাপ হতে শুরু করেছিল সুশান্তের সমস্ত পরিস্থিতি।


প্রিয়ঙ্কা বলেন, '২০১৯ সাল থেকেই সুশান্তের জীবনে বিভিন্ন সমস্যা আসতে শুরু করেছিল কারণ তখনই সুশান্তের জীবনে রিয়ার প্রবেশ। সেই প্রথম আমার সঙ্গে আমার ভাইয়ের সমস্যা শুরু হয়। এর আগে কখনও সুশান্তের সঙ্গে কোনওরকম সমস্যা হয়নি আমার। মাত্র ছদিনের মধ্যেই যাবতীয় ঘটনা ঘটে যায়। আমার মনে হয় কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সুশান্তের জীবন নষ্ট করার জন্যই রিয়াকে ওর জীবনে পাঠিয়েছিল।'


আরও পড়ুন:Lalit Modi-Sushmita Sen Update: 'মেসেজের উত্তর দিন সুস্মিতা', প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর সঙ্গে ললিত মোদির কথোপকথন ভাইরাল


রিয়াকে সমর্থন করা নিয়ে বিভিন্ন বলি তারকাদের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর মন্তব্য, বিভিন্ন বড় বড় ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেন না এমন তারকারাও সুশান্তের মৃত্যুর পরে রিয়াকে সমর্থন করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, 'সুশান্ত কখনও কোনও দলের অন্তর্ভূক্ত ছিল না। নিজেই ভালো কাজ করে বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছিল সুশান্ত। ও কখনও এই পেশাটার ওপর নির্ভরশীল ছিল না। ভালোবাসা থেকে অভিনয় করত সুশান্ত। অন্যান্য কাজে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে ভালোবাসত ও। আর সেটাই বলিউডের তথাকথিত বড় বড় মানুষদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিল।'


সদ্য মাদক-মামলায় রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty), তাঁর ভাই সৌভিক  (Showik) ও আরও একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খসড়া চার্জ জমা দিয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জের খসড়া জমা করেছে এনসিবি। বলি-তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত (SSRs death) রহস্যমৃত্যু তদন্তের সূত্রেই রিয়া-সৌভিকের বিরুদ্ধে মাদকযোগের অভিযোগ আনে এনসিবি(NCB)। সেই মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছিল রিয়াকে। প্রায় মাসখানেক পর ছাড়া পান প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী। 


২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি আত্মহত্য়া করেছেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছিল, এই বিতর্কে দীর্ঘদিন তোলপাড় চলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লড়াই গড়ায় কোর্টে। অবশেষে রহস্যমৃত্যুর কিনারায় নামে সিবিআই। পাশাপাশি আলাদা তদন্ত শুরু করে ইডি ও এনসিবি।