LIVE UPDATES: ঋষি কপূরের মুখাগ্নি করলেন পুত্র রণবীর, ছিলেন পরিবারের সদস্যরা

প্রবীণ অভিনেতার ভাই রণধীর কপূর জানিয়েছেন, ঋষি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে ভেন্টিলেটরে থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 30 Apr 2020 04:51 PM
বলিউডে একটি যুগের অবসান। বিখ্যাত অভিনেতা ঋষি কপূরের মৃত্যুর পর তাঁর শেষকৃত্যও সম্পন্ন হল। তাঁর মুখাগ্নি করলেন ছেলে রণবীর কপূর। লকডাউনের জেরে শ্মশানে বেশি লোকজনে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরিবারের লোকজন এবং কিছু ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাই শ্মশানে ছিলেন।
ঋষি কপূরের শেষকৃত্যে যোগ দিতে শ্মশানে যান অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। এছাড়া আত্মীয় আরমান জৈন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন। পুলিশ ১৫-২০ জনের বেশি লোককে শ্মশানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
কপূর পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গত দু’বছর ধরে চিকিৎসা চলা সত্ত্বেও, তিনি চনমনে ছিলেন। তিনি জীবন পুরোপুরি উপভোগ করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তাঁর সবচেয়ে পছন্দের বিষয় ছিল পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, খাওয়া ও চলচ্চিত্র। তাঁকে দেখে সবাই এটা ভেবে অবাক হয়ে যেতেন, তিনি কীভাবে অসুখকে শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলতে দেননি! তাঁকে চোখের জলে নয়, হাসিমুখে স্মরণ করাই ভাল।’
কপূর পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের অভিনেতা ছিলেন ঋষি। তিনি দু’বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। গতকাল শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আজ সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কিছুক্ষণ পরেই দক্ষিণ মুম্বইয়ের চন্দনওয়াড়ি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে আজ প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কপূরের দেহ। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য হবে। এমনই জানিয়েছেন তাঁর ভাই রণধীর কপূর।
ঋষি কপূরের শেষকৃত্যে যোগ দিতে তাঁর মেয়ে ঋদ্ধিমা সাহনিকে দিল্লি থেকে মুম্বই আসার জন্য বিশেষ অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আর পি মীনা জানিয়েছেন, ‘ঋদ্ধিমার সঙ্গে আরও চারজনকে মুম্বই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন ভরত সাহনি, সামারা সাহনি, অক্ষয় সাহনি ও দৃগলক্ষ্মী রাই।’
২ বছর ধরে লিউকোমিয়ায় ভুগছিলেন ঋষি। আজ সকাল পৌনে নটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মারা গেলেন ঋষি কপূর। আজ মুম্বইয়ের স্যার এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ক্যানসারে আক্রান্ত ঋষিকে শ্বাসকষ্টের কারণে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

প্রেক্ষাপট

মুম্বই: অসুস্থতার জেরে ফের হাসপাতালে ভর্তি করতে হল ঋষি কপূরকে। ৬৭ বছরের ঋষি ক্যানসারে ভুগছেন। বুধবার মুম্বইয়ের স্যার এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী নীতু রপূর।

প্রবীণ অভিনেতার ভাই রণধীর কপূর জানিয়েছেন, ঋষি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে ভেন্টিলেটরে থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।

২০১৮ সালে ঋষির ক্যানসার ধরা পড়ে, ১ বছরের বেশি সময় আমেরিকার নিউ ইয়র্কে চিকিৎসা হয়। গোটা সময়টা সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী নীতু। দেশে ফেরার পর ফেব্রুয়ারিতে ফের তাঁকে ২ বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন সেখানেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ঋষি বলেছিলেন, ইনফেকশনে ভুগছেন তিনি। মুম্বইয়ে ফিরে আসার পর ভাইরাল ফিভারের জন্য ফের হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তবে অল্প সময় পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়।

নীতু জানিয়েছেন, স্বামীর ক্যানসার হয়েছে জানতে পেরে প্রথমটা ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ভেঙে পড়েন ছেলে রণবীর, মেয়ে ঋদ্ধিমাও। কী করতে হবে, বুঝতে পারছিলেন না। তারপর ভাবেন, সমস্যা যখন হয়েইছে, তখন তার সঙ্গে যুঝতে হবে। ঋষি প্রথমে অস্বীকার করতে চাইছিলেন। ৪-৫ মাস নিজের মধ্যে ছিলেনই না তিনি। কিন্তু যখন বোঝা যায়, এটা নিয়েই বাঁচতে হবে, তখন অনেক মানসিক জোর পাওয়া যায়। গত ৫-৬ মাস ধরে ঋষি এখন মানসিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী।

ঋষি বলেছেন, লোকে ভাবে, সিনেমাতেও দেখানো হয়, ক্যানসার ভয়ঙ্কর একটা রোগ। হ্যাঁ, সেটা ঠিকই। কিন্তু এখন তো তার চিকিৎসা সম্ভব, যদি প্রথম দিকে ধরা পড়ে। ক্যানসার সেরে যায়, তবে পরিবারকে পাশে থাকতে হবে। ছবিতে তো আমরা আবহ সঙ্গীত দিয়ে টিয়ে ক্যানসারের বদনাম করে দিয়েছি। কিন্তু আজ ক্যানসার চিকিৎসা করলে সারে, মানুষ সব ধরনের ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন, শুধু ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে চলতে হবে।

ঋষিকে শেষ দেখা গিয়েছে ইমরান হাসমির বডি ছবিতে, ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এরপর তাঁকে দেখা যাবে দ্য ইনটার্ন-এর হিন্দি রিমেকে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে। নিউ ইয়র্ক থেকে ফেরার পর শর্মাজি নমকিন নামে একটি ছবিতে জুহি চাওলার সঙ্গে শ্যুটিং শুরু করেন কিন্তু তাঁর অসুস্থতার কারণে শ্যুটিং বাতিল করা হয়।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.