Nightclub Accident: ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মিউজিকাল কনসার্ট চলাকালীন নাইটক্লাবে ভেঙে পড়ল ছাদ। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন সেই সঙ্গীতশিল্পী, যাঁর কনসার্ট চলছিল। মৃত্যু হয়েছে দুই পেশাদার বেসবল খেলোয়াড়েরও। এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ডমিনিকাল রিপাবলিকের একটি নাইটক্লাবে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। 

জানা গিয়েছে, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ডমিনিকান রিপাবলিকের বিখ্যাত merengue (ক্যারিবিয়ান স্টাইলের নাচ-গান) গায়ক রুবি পেরেজ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। দুর্ঘটনার সেই সাংঘাতিক মুহূর্তে ডমিনিকান রিপাবলিকের জনপ্রিয় জেট সেট নাইটক্লাবে স্টেজ মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। যে সময় রুবি নেচে-গেয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করছিলেন, ঠিক সেই সময়েই আচমকা ভেঙে পড়েছিল নাইটক্লাবের ছাদ। মাঝরাতের কিছু সময় পরই ঘটে এই দুর্ঘটনা। রুবি পেরেজের ম্যানেজার নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, নাইটক্লাবের দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। আপাতত রুবি পেরেজের শেষকৃত্যে তাঁর সন্তানদের আসার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 

অন্যদিকে, এই দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বেসবল খেলোয়াড় অক্টাভিও ডোটেল। ২০১১ সালে ওয়ার্ল্ড সিরিজ জিতেছিলেন তিনি। মেজর লিগের বেসবল খেলোয়াড় ছিলেন এই ব্যক্তি। বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। নাইটক্লাব থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অক্টাভিওকে। তবে গুরুতর জখম ছিলেন তিনি। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। নাইটক্লাবের ছাদ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক বেসবল খেলোয়াড়ের। তাঁর নাম টোনি ব্ল্যাঙ্কো। ওয়াশিংটন ন্যাশনালসের হয়ে খেলতেন তিনি। প্রাক্তন এই বেসবল খেলোয়াড় তাঁর এক বন্ধুকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। বন্ধু বেঁচে গেলেও ৪৩ বছরের ব্ল্যাঙ্কোর মৃত্যু হয়েছে। নাইটক্লাবের ছাদ ভেঙেই মৃত্যু হয়েছে এই প্রাক্তন খেলোয়াড়ের। 

স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৪৪ মিনিট নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে অনুমান। সেই সময় নাইটক্লাবে ছিলেন ৫০০ থেকে ১০০০ লোক। এমনটাই জানিয়েছেন ডমিনিকান রিপাবলিকের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। জানা গিয়েছে, ওই নাইটক্লাবে ৭০০ লোকের বসার এবং প্রায় ১০০০ লোকের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা ছিল। দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। নাইটক্লাবের ভিতরে ছাদ ভেঙে চাপা পড়া অসংখ্য দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থাতেও উদ্ধার করা হয়েছে অনেক ব্যক্তিকে। পরবর্তী সময় নিহত এবং আহত, দুইয়ের সংখ্যাই বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চালু রয়েছ উদ্ধারকাজ।