Russia Earthquake: রাশিয়ার কামচাটকা এলাকায় তীব্র ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৮.৮। এই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার ২০.৭ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত। সংবাদসংস্থা এপি সূত্রে খবর, ভূকম্পের এপিসেন্টার Petropavlovsk-Kamchatsky এলাকা থেকে ১১৯ কিলমিটার দূরে রয়েছে। এই তীব্র ভূমিকম্পের জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং নিউজিল্যান্ডে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সিগুলিই প্রথম রাশিয়ার এই ভূমিকম্পের মাত্রা রেকর্ড করেছে। সেই সময় রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৮.০। পরে মার্কিং যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানায় রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৮.৮। 

এই আবহে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে কয়েকটি বেলুগা তিমিকে। এই ভাইরাল ভিডিও দেখার পর অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করছেন যে রাশিয়ার কামচাটকা তীরে এই সাদা তিমির দল ভেসে এসেছিল বিপর্যয়ের বার্তা দিতেই। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে মোট ৫টি সাদা তিমিকে। তাদের মধ্যে একটি বাচ্চা। কামচাটকা তটে আটকে পড়েছিল এই সাদা তিমি বা বেলুগা তিমির দল। অনুমান করা হচ্ছে, সম্ভবত কম জল থাকার সময় কামচাটকায় চলে এসেছিল এই সাদা তিমিগুলি। তারপর জোয়ার শেষ হয়ে যাওয়ায় আর সাঁতরে ফিরে যে না পেরে আটকে পড়েছিল। তবে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা খবর পেয়েই ছুড়ে যান কামচাটকা তটের ওই এলাকায়। সমুদ্রের জলে বেলুগা তিমিদের শরীর ভিজিয়ে রাখার চেষ্টা করেন তাঁরা। তারপর জোয়ার এলে ওই তিমির দলকে সাঁতরে ফিরে যেতেও সাহায্য করেন মৎস্যজীবীরা। 

৩০ জুলাই রাশিয়ার কামচাটকায় প্রবল শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তার মাত্র একদিন আগেই কামচাটকা তটে আটকে পড়েছিল এই সাদা তিমি অর্থাৎ বেলুগা তিমির দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও দেখে ইউজারদের অনেকেই দাবি করেছেন, যে এলাকায় তিমির দল আটকে পড়েছিল, সেটা আজকের ভূমিকম্পের এপিসেন্টার অর্থাৎ উৎসস্থলে কাছেই অবস্থিত। এমনিতেই বলা হয়, যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের থেকে অনেক আগে অনুভব করতে পারে পশুপাখীরা। আর তার জেরেই একটি নতুন সম্ভাবনার কথা উঠছে বারবার। সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের অনেকেই বলছেন, হয়তো বিপর্যয়ের আভাস পেয়েছিল ওই সাদা তিমির দল। আর হয়তো সেই কারণেই সতর্কবার্তা পৌঁছে দিতে কামচাটকা তটে এসেছিল বেলুগা তিমিরা। যদিও এই ঘটনার পক্ষে কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।