নয়াদিল্লি: রাশিয়া দাবি করল, ১০ থেকে ১২ অগাস্টের মধ্যে করোনাভাইরাস টিকা আনতে চলেছে তারা। সত্যিই যদি তা হয়, তবে তারাই প্রথম দেশ হিসেবে এই বহু প্রতীক্ষিত টিকা আনছে।
টিকাটি তৈরি করেছে মস্কোর গামালেয়া ইনস্টিটিউট ও রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থায় রেজিস্ট্রেশনের পর ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে তা সাধারণের জন্য বাজারে আনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে রাশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তি দাবি করে, ১৫ থেকে ১৬ অগাস্টের মধ্যে টিকাটি অনুমোদন পেতে পারে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে, নির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনেই তাদের করোনা টিকার পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে, গবেষণার সময়সীমা কমিয়ে আনার কোনও চেষ্টা হয়নি।
রাশিয়ায় ৮ লাখের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, বিশ্বের নিরিখে যা চতুর্থ। সকলের আগে টিকা বার করার তাগিদে তারা জানিয়ে দিয়েছে, মানব দেহে পরীক্ষার মাত্র তিন মাসের মধ্যে তারা বুঝতে পারবে টিকা কাজ করছে কিনা। যদিও এত গুরুত্বপূর্ণ টিকা নিয়ে এই তাড়াহুড়ো অন্যান্য দেশের মনঃপূত নয়।
পাশাপাশি রাশিয়ার একটি সরকার অনুমোদিত ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট দেশের দ্বিতীয় করোনা টিকার মানব দেহে পরীক্ষা শুরু করেছে। ২৭ তারিখ তারা টিকা প্রয়োগ করেছে ৫ স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে। তাঁরা ভাল আছেন বলে এখনও পর্যন্ত খবর।
এছাড়া রুশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা আর-ফার্ম ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। অ্যাস্ট্রা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যে করোনা টিকা তৈরি করছে, তা প্রস্তুত করবে তারা। কদিন আগে ইংল্যান্ড, কানাডা ও আমেরিকা এক যোগে অভিযোগ করে, রুশ হ্যাকাররা তাদের করোনা টিকা ও ওষুধ সম্পর্কিত গবেষণা চুরির চেষ্টা করছে। রুশ করোনা টিকা দ্রুত আসতে চলেছে দাবি করে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড দাবি করেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তিই দেখিয়ে দিচ্ছে, মস্কোর কিছু চুরির দরকার নেই।
এ বছরই রাশিয়া ৩ কোটি করোনা টিকার ডোজ তৈরি করতে পারে, আর ১৭ কোটি ডোজ তৈরি করতে পারে বিদেশে। ৫টি দেশ এই টিকা তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে, দাবি করেছেন রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল ডিমিত্রিয়েভ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন করোনা টিকা তৈরিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এখনও পর্যন্ত ১০০-র বেশি করোনা টিকা তৈরি হচ্ছে গোটা বিশ্বে। তার মধ্যে অন্তত ৪টি রয়েছে মানব দেহে ট্রায়ালের তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্যায়ে।