নয়াদিল্লি: দেশের ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে এবার পাশে দাঁড়াল রাশিয়া। বছরে ৮৫ কোটি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি হবে দেশে। শীঘ্রই আসছে সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন স্পুটনিক লাইট, আশ্বাস মস্কোর।


ভারতে রাশিয়ার অ্যাম্বাসাডর এন কুদাসেভ জানিয়েছেন, স্পুটনিক ভি রাশিয়া এবং ভারতের ভ্যাকসিন। আমাদের আশা ভারতে এই ভ্যাকসিন তৈরি হবে। প্রতিবছর ৮৫ কোটি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এই মহামারী মোকবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়াবে রাশিয়া। যত দ্রুত সম্ভব স্পুটনিক লাইট ভ্যাকসিনও ভারতে আনা হবে। তাঁর দাবি স্পুটনিক ভি-এর কার্যকারিতা সম্পর্কে সারা বিশ্ব জানে। ২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে রাশিয়াতে এই টিকা সাফল্যের সঙ্গে প্রয়োগ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোভিড ১৯-এর নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিন কার্যকরী।


দেশজুড়ে স্পষ্ট ভ্যাকসিন সঙ্কটের ছবি। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে মিলছে না ভ্যাকসিন। কোথাও আবার ভ্যাকসিন মিলবে না বলে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ। আবার কোথাও ভ্যাকসিন না পেয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। যাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। এই আবহে রাশিয়া থেকে ভারতে এসে পৌঁছয় ‘স্পুটনিক ভি’ ভ্যাকসিন। পাশাপাশি আজ, ভারতের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল মস্কো। সব মিলিয়ে আশার আলো দেখছে দেশবাসী


আগামী সপ্তাহ থেকেই যে ভ্যাকসিন বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করে টিকাকরণ শুরু করা হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভিকে পল। জুলাই থেকে ভারতেই শুরু হবে ‘স্পুটনিক ভি’-র উৎপাদন। আপাতত প্রায় ১৬ কোটির মতো স্পুটনিক ভি তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল (স্বাস্থ্য) জানান, 'ভারতে এসে পৌঁছেছে স্পুটনিক ভ্যাকসিন। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আগামী সপ্তাহ থেকেই যা বাজারজাত করা যাবে। রাশিয়া থেকে আপাতত যে অল্প সংখ্যক স্পুটনিক টিকা এসে পৌঁছেছে তা দিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকেই টিকাকরণের কাজ শুরু করা যাবে বলেই প্রত্যাশা রাখছি।' একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'আগামী দিনে রাশিয়া থেকে আরও ভ্যাকসিন এসে পৌঁছবে। জুলাই থেকে ভারতেই স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। ১৫.৬ কোটি টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।'